সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শামসু বাহিনী প্রধান শামসুল হক ওরফে শামসু (৪৮) নিহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলাধীন বনের মৃগমারী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব আরো জানায়, প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটলে র্যাব সদস্যরা বনে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দস্যু বাহিনী প্রধান শামসুল হক ওরফে শামসুকে আটক করেন। পরে তাকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বন তল্লাশি করে র্যাব সদস্যরা দস্যুদের ব্যবহৃত তিনটি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৬ রাউন্ড গুলি এবং দুটি রামদা উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। পরে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
নিহত শামসুল হক ওরফে শামসুর বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার অর্জুনবহর গ্রামে বলে জানা গেছে। তিনি নিজের নামে বাহিনী গঠন করে দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে জেলে-বাওয়ালীদের নৌকা ও ট্রলারে ডাকাতি করে মালামাল লুট ও অপরহণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিলেন।
র্যাব খুলনা ৬ এর অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনে দস্যু দমনের জন্য তাঁর নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবনে অভিযান শুরু হয়। বেলা ১২টার দিকে র্যাব সদস্যরা বনের মৃগমারী এলাকায় পৌঁছালে বনের ভেতর থেকে দস্যুরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটলে বন তল্লাশি শুরু করা হয়।
বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে আহত দুই র্যাব সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সুন্দরবনে দস্যুদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে ওই র্যাব কর্মকর্তা জানান।