বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালে বা তাতে মদদ দিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে আইন করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছর জেল এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোন ব্যক্তি যদি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদালত কর্তৃক মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধের বিষয়াবলী বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে যে কোন প্রচার প্রপাগাণ্ডা বা তাতে মদদ প্রদান করে তাহলে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, সর্বনিম্ন ৩ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিসভা নতুন এই আইনের নীতিগত অনুমোদন দিলেও সেটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
“তবে আইসিটি আইনে ইতোমধ্যে দায়ের হওয়া মামলাগুলো ওই আইন অনুযায়ী চলবে।”
সচিব বলেন, “নতুন আইনে অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে সাইবার আক্রমণ করলে সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা জরিমানা করা হবে।”
তিনি জানান, কম্পিউটার, মোবাইলসহ অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে জালিয়াতি, কম্পিউটার বা মোবাইলে প্রতারণা ও হুমকি, প্রতারণা বা ঠকানোর উদ্দেশ্যে অন্যের তথ্য ব্যক্তিগত বলে দেখানো, পর্নোগ্রাফি, মানহানি, শত্রুতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্য আলাদা শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
এই আইন অনুযায়ী সরকার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’ গঠন করবে বলেও জানান সচিব।
