“ঢাকা লিগে আমার একটি-দুটি ফিফটি ধরাবাঁধা। এবার এখনও হয়নি, তবে করব তো বটেই। কোন দলের কপালে যে আছে আমার ঝড়!’ আড্ডায় গত কয়েক দিনে বেশ কয়েক বার এই কথা বলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ঠিকই তুললেন ঝড়। সেই ঝড়ে ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে। ছাড়িয়ে গেলেন আসলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবাইকেই!
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামালের বিপক্ষে ১০৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে ও টি২০ অধিনায়ক। মাশরাফির ৫০বলের ইনিংসটি ছিল ২টি চার ও ১১টি ছক্কায় সমৃদ্ধ। স্ট্রাইক রেট ২০৩.৯২! শফিউল ইসলামের বলে মার্শাল আইয়্যুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মাশরাফি।
একই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছেন জসিমউদ্দিন। ৯৭ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৬৪ রান করেন তিনি। বিদায় নিয়েছেন সোহাগ গাজীর বলের বোল্ডআউট হয়ে। মাশরাফি-জসিমউদ্দিনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভর করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রানের বড় পুঁজি সংগ্রহ করেছে কলকাগান ক্রীড়া চক্র। জয়ের জন্য ৩১৭ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল শেখ জামালকে।
কলবাগানের পক্ষে রান পেয়েছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজাও। ৪৫ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। তাসামুল হকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান। ওপেনার সাদমান ইসলাম করেন ১৭ রান। মেহরাব হোসেন জুনিয়রের ব্যক্তিগত ইনিংস থামে ১৬ রানে।
১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে শেখ জামালের সেরা বোলার সোহাগ গাজী। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহও পেয়েছেন ২ উইকেট। তবে ৯ ওভারে তিনি খরচ করেছেন ৫৬ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাজমুস সাদাত ও শফিউল ইসলাম।