প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ। শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপ-কমিশনার এসব কথা বলেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে বিএনপিঘনিষ্ঠ এই সাংবাদিককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার সময় পুলিশ কিছু বলেনি।
শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানের অভিযোগ পেয়ে এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্মকমিশনার বলেছিলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই।”
পরে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণের চক্রান্তে’ এফবিআইকে ঘুষ দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির এক নেতার ছেলের দণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ যে মামলাটি করেছিল, তাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে শফিক রেহমানকে।
উপকমিশনার মারুফ জানান, শফিক রেহমান ২০১৩ সালে একবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তখনই জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন।
শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমান জানান, ডিবি পরিচয়ধারীরা নিজেদের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য সাক্ষাৎকার নেয়ার কথা বলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে।
তবে বাসায় ঢোকার পরপরই নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে তাদের সঙ্গে শফিক রেহমানকে যেতে বলেন।
এ সময় বাসার বাবুর্চি তাদের বাধা দিলে তাকে মারধর করে ‘ডিবি’ সদস্যরা। পরে তারা শফিক রেহমানকে নিয়ে যায় বলে জানান তালেয়া।
এ ব্যাপারে সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় রমনা থানায় যোগাযোগ করলে কর্তব্যরত কর্মকর্ত এসআই বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কাউকে আটকের খবর নেই এবং আমাদের থানায় শফিক রেহমান নামে কেউ আটক নেই।’
শফিক রেহমানকে পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে সেখানে যোগাযোগ করলে তাকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করেন থানার কর্তব্যরত কর্মকর্ত এসআই ।
পরে সকাল ১০টার দিকে শফিক রেহমানকে গ্রেফতারর কথা স্বীকার করেন ডিএমপির উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার।
ওই সময় তিনি বলেন, শফিক রেহমানকে পল্টন থানায় ২০১৫ সালে দায়ের হওয়া একটি ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।