বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

মেসির হ্যাটট্রিক, বার্সার গোল বন্যা

যা যা মিস করেছেন

ভাগ্যের ফেরে আর নেইমার, সুয়ারেসের ব্যর্থতায় সুযোগ নষ্ট হলো অনেক। তারপরও ভায়েকানোর জালে ঠিকই গোল উৎসব করেছে বার্সোলোনা। লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে লা লিগার এ ম্যাচে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে লুইস এনরিকের দল।

messi neimar suares the mail bd

এ জয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে ফের আট পয়েন্টে এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। ২৭ ম্যাচে শীর্ষে থাকা দলটির পয়েন্ট ৬৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিয়েগো সিমেওনের দলের পয়েন্ট ৬১।

এর আগের ছয়বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ভায়েকানোর জালে ২৯ বার বল পাঠিয়েছিল বার্সেলোনা। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হলো না।

‘প্রিয় প্রতিপক্ষের’ মাঠে বৃহস্পতিবার রাতে শুরুতে অবশ্য কিছুটা অনুজ্জ্বলই ছিল বার্সেলোনার দুর্দান্ত আক্রমণভাগ। তবে স্বরুপে ফিরতেও দেরি করেনি তারা। আর ২১তম মিনিটে প্রথম সুযোগেই দলকে এগিয়ে দেন ইভান রাকিতিচ।

গোলটিতে অবশ্য অতিথিদের কৃতিত্বের চেয়ে স্বাগতিক গোলরক্ষকের ভুলের দায়ই বেশি। দূর থেকে বার্সেলোনার স্পেনের মিডফিল্ডার সের্হিও রবের্তোর দেওয়া ক্রস সহজেই ধরতে পারা উচিত ছিল গোলরক্ষক হুয়ান কার্লোসের, কিন্তু পারলেন না তিনি। ছয় গজ দূর থেকে বিনা বাধায় সুযোগটা কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি রাকিতিচ।
এক মিনিট বাদেই মেসি-নেইমারের দারুণ বোঝাপড়ায় ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। সামনে থাকা ব্রাজিলিয়ান সতীর্থকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। পরক্ষণে নেইমার সঙ্গে লেগে থাকা এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ব্যাকপাস করেন, যা ধরে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকা।

দুই মিনিটের মধ্যে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া মাদ্রিদের ছোট দলটি ৪২তম মিনিটে আরেকটি বড় ধাক্কা খায়; ইভান রাকিতিচেক ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন তাদের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হাভিয়ের লরেন্তে।

এবারের লা লিগায় এটি দিয়ে সর্বোচ্চ আটটি লাল কার্ড দেখল ভায়েকানোর খেলোয়াড়েরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার, কিন্তু শট একটুর জন্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

এর ছয় মিনিট বাদেই অবশ্য স্কোরলাইন ৩-০ করেন মেসি। সুয়ারেসের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরলে বল পেয়ে যান আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। সহজেই গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন দলের সেরা তারকা।

৫৭তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল স্বাগতিকরা। খুব কাছ থেকে হেডে বল জালে জড়ান অ্যাঙ্গোলার ফরোয়ার্ড মানুচো।

লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগালেও অবশ্য এক জন কম নিয়ে পেরে ওঠেনি ভায়েকানো। ৬৩-৬৮তম মিনিটের মধ্যে নেইমার-সুয়ারেসরা কয়েকটি সুযোগ না হারালে এই সময়ে ব্যবধান বাড়তে পারতো।

এর মধ্যে ৬৬তম মিনিটে নেইমারের ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল ফাঁকায় দাঁড়ানো সের্হিও বুসকেতস অনায়াসে জালে জড়াতে পারতেন, কিন্তু শট নেওয়ার আগ মুহূর্তে তাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন চিলির মিডফিল্ডার মানুয়েল ইতুরা। পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা, মেসির হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও সুয়ারেসকে স্পটকিক নিতে দেন। কিন্তু উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের ব্যর্থতায় ব্যবধানে বাড়েনি।
তিন মিনিট বাদেই অবশ্য হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি; নয় জনের দল ভায়েকানোর রক্ষণের দুর্বলতা এখানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মাঝ মাঠের কিছুটা ভিতর থেকে বল পায়ে দৌড়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা।

লা লিগার এ মৌসুমে মেসির এটা ১৯তম গোল।

আর ৮৬তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান আর্দা তুরান। ফরাসি ডিফেন্ডার জেরেমি মাথিউয়ের ক্রসে হেড করে বল জালে জড়ান তুরস্কের এই মিডফিল্ডার।

এই জয়ে সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ৩৫তম ম্যাচে উন্নীত করলো বার্সেলোনা।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security