বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে ‘চেয়ারপারসন’ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন খালেদা জিয়া। তার নির্বাচনী এজেন্ট রুহুল কবির রিজভী বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এবারের কাউন্সিলে চেয়ারম্যান (চেয়ারপারসন) ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের এই আয়োজন করেছে বিএনপি। নিয়ম অনুযায়ী, আগ্রহীরা নিজে কিংবা লিখিতভাবে মনোনীত এজেন্টের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে, জমা দিতে বা প্রত্যাহার করতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও উপস্থিত থাকতে পারবেন।
তফসিল অনুযায়ী, বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম নেওয়া যাবে, জমা দেওয়া যাবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। ৫ মার্চ বাছাই এবং ৬ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ১৯ মার্চ কাউন্সিলে ভোট হবে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য এই তফসিল ঘোষণা করেন কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার।
এক পৃষ্ঠার মনোনয়নপত্রের কোনো মূল্য রাখা হয়নি। ‘চেয়ারপারসন’ পদে মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, স্থায়ী ঠিকানা ও রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হতে বয়স হতে হবে অন্তত ৩০ বছর। তাকে দলের চাঁদাদাতা সদস্য হতে হবে।
মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষরদানকারীকে দুই জনকে দলের কাউন্সিলর হতে হবে। তাদের এবং প্রার্থীর দলীয় চাঁদা বকেয়া থাকা চলবে না।
বিএনপির চাঁদা আদায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরের কর্মকর্তা রুস্তম আলী বলেন, “ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্যের চাঁদার হার প্রতি মাসে এক হাজার টাকা। সে অনুযায়ী দুইজনের সমুদয় চাঁদার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।”
বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। ওই কাউন্সিলেই বিএনপিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ তৈরি করে সেখানে খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে বসানো হয়।
কয়েক ডজন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে গত আট বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক সেখান থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই কাউন্সিলে বক্তৃতা করেছিলেন।
১৯৮৪ সাল থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন পদে রয়েছেন খালেদা জিয়া। এরপর আর দলটির শীর্ষ পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি।