মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিতর্কিত মন্তব্যের এক সপ্তাহ পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললো বিএনপি।
দলটি বলছে, ‘গত ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রদত্ত ভাষণের একটি অংশের বিকৃত ব্যাখ্যা করে ক্ষমতাসীন মহল যে অপপ্রচার ও বিভিন্ন মতলবী কার্যক্রম শুরু করেছে। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
ওই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বেগম জিয়াকে। মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বেগম জিয়া কেন ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন এবং আসলে কী বলতে চেয়েছিলেন তার একটা ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এতে বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের তালিকা ও পরিচিতি আজ পর্যন্ত সংরক্ষিত না থাকায় স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বিভিন্ন শক্তি ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য ও বিতর্ক উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন গ্রন্থে শহীদদের বিভিন্ন রকম সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। দেশনেত্রী সে কথাই তুলে ধরেছেন তার বক্তব্যে। এর মাধ্যমে তিনি মহান শহীদদের পরিচিতি ও প্রকৃত সংখ্যা নিরুপণের প্রয়োজনীয়তার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন, যাতে তাদের উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করা যায়।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এই কথা বলার মাধ্যমে শহীদদের প্রতি কোন ধরনের অসম্মান প্রদর্শনের প্রশ্নই আসে না। যারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করেনি বরং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করেছে এবং যারা প্রকৃত শহীদদের তালিকা ও পরিচিতি সংরক্ষণের মাধ্যমে তাদের সম্মানিত করতে চায় না, তারাই বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে বিকৃত ব্যাখ্যা করে অপরাজনীতিতে মেতে উঠেছে। আমরা তাদের এই হীন অপপ্রচার ও তৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’
গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল ধারণা করা হচ্ছিল তাতে ওই বিতর্কিত বক্তব্যের বিষয়টিই তুলে ধরা হবে। তবে ওই সংবাদ সম্মেলনে তাকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তিনি মৃদু হেসে এড়িয়ে যান। বলেন, ‘আজ নয়। অন্যদিন বলবো।’