প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জনগণের সেবা করতে এসেছি। জনগণের সেবক। প্রধানমন্ত্রীত্ব গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। তবে আমি জাতির পিতার কন্যা। এটাই আমার গর্ব।
তিনি আরো বলেন, ধর্মের নামে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ মেনে নেয়া যাবে না। ধর্ম এমনটা বলে না। তাই আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে বিপথে না যায় সেটি খেয়াল রাখতে হবে। শনিবার শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর নির্মাণ কাজ ও নদীশাসন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম কখনো সন্ত্রাসকে জায়গা দেয় না। ধর্মের নাম নিয়ে মানুষ হত্যা করা মহাপাপ। ধর্মের নামে আত্মহত্যাও খারাপ। খেয়াল রাখতে হবে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন এই পথে না যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। আমরা কেন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে থাকবো। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণিত হবো। সততা থাকলে সম্ভব।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত জোট দেশের উন্নয়ন করে না। তারা সন্ত্রাসী, অপরাধের উন্নয়ন করে।
পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এর নির্মাণ কাজে সকলের সহযোগিতা দরকার। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য জরুরি। অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন হবে এই সেতু। নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ একদিন পুরোপুরি স্বাবলম্বী হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও কাছে হাত পেতে নয়। আমরা স্বাবলম্বী হয়ে চলবো। আমরা উৎপাদন করছি। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বাঙালি কারও কাছে মাথা নত করেনি, করবেও না। বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আজও তা-ই প্রমাণিত হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছি আমরা।
এর আগে, বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে নাওডোবায় নবনির্মিত হেলিপ্যাডে এসে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টার থেকে নেমেই মঞ্চের পাশে অবস্থিত একটি ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদীশাসনের বাস্তব কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মোনাজাতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সফলতা কামনা করেন তিনি।
ফলক উন্মোচনের পর পাশেই অবস্থিত সুধী সমাবেশের মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শরীয়তপুর-১ (জাজিরা) আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।