কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : পঙ্গু বাবার জন্য রাতের খাবার দিতে গিয়ে দ্রুত গতির ট্রাকের নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শিশু তাহমিন (৮)। নিহত শিশু তাহমিনা চার ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বড় এক বোন, ছোট এক বোন ও কোলের এক ভাই রয়েছে। সে স্থানীয় লাটুনিয়া সরকারি প্রাইমারী বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
শিশুটির বাবা নুরুল হক বাম পা হারা পঙ্গু থাকায় তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় টংকের দোকান পরিচালনা করেন। নেত্রকোনার পুর্বধলা উপজেলায় সদর ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের পূর্ব পাশে নুরুল হকে দোকান। আর পশ্চিম পাশে খারছাইল গ্রামের তাহমিনার পরিবারের বসবাস।
বাবার জন্য রাতের খাবার নিয়ে দোকানে আসার পথে রাস্তা অতিক্রম করার সময় বিরিশিরিগামী দ্রুতগতির ট্রাকের চাপায় পৃষ্ট হয় শিশু তাহমিনা।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নেত্রকোনার পুর্বধলা উপজেলায় শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কে আতকাপাড়া পেট্রোলপাম্পের অদূরে এ দুর্ঘটনা শিকার হয় শিশুটি। শিশুটির পঙ্গু বাবা, নানী ও পরিবারের লোকজন রাস্তায় লাশে কাছে কান্নার বিলাপ ও মুর্ছনা যাবার এক করুন দৃশ্য।
এ ঘটনার পর থেকে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কটি কয়েকঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তার উভয়দিকে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি ট্রাকের গ্লাস ভাঙচুর করেছে।
পূর্বধলা থানা ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। শিশুটির সুরতহাল প্রতিবেদনের পর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে ও ঘাতক ট্রাক সনাক্তে কাছ করছে পুলিশ বলে জানান তিনি।