...
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

তুষারঢাকা ৬ মাইল পথ হেঁটে টিকা নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ বছর বয়সী নারী

যা যা মিস করেছেন

করোনা ভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তাই সেখানে টিকা পৌঁছার পর অনেক মানুষই টিকা নিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। কিন্তু সিয়াটলের ৯০ বছর বয়সী ফ্রান গোল্ডম্যান নামে এক নারী সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন। এখন শীতকালে তুষারে ঢেকে আছে চারদিক। তার ভিতর দিয়ে টিকা নিতে তিনি ৩ মাইল পথ হেঁটে গিয়েছেন হাসপাতালে বা ক্লিনিকে। আবার ওই পথ হেঁটে বাসায় ফিরেছেন। ফলে তাকে তুষারঢাকা মোট ৬ মাইল পথ হাঁটতে হয়েছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে লুফে নিয়েছে মিডিয়া।

তিনি অনলাইন সিএনএন’কে বলেছেন, ওয়াশিংটনে এই টিকা পর্যাপ্ত। ফলে তিনি টিকা নেয়ার জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি এবং তার মেয়ে রুথ বহুবার টিকা নেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা সফল হননি।
শেষ পর্যন্ত বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ১৪ই ফেব্রুয়ারি রোববার শিশুদের একটি হাসপাতালে তিনি সুযোগ পেয়ে যান। কিন্তু এক্ষেত্রে বড় এক সমস্যা ছিল। তুষারপাতের পূর্বাভাস যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে এলো। গোল্ডম্যান বলেন, তুষারপাতের পূর্বাভাস ছিল এবং বেশ কিছু ক্লিনিক ওই সপ্তাহের শেষে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে যাচ্ছিল। তাই শনিবার ঘুম থেকে উঠি। বাইরে তখন ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি তুষার পড়েছে। আমি আবার চেক করে দেখলাম ক্লিনিক খোলা কিনা। কিন্তু কোনো জবাব পেলাম না।
গোল্ডম্যান পরিকল্পনা শুরু করেন কিভাবে তার বাসা থেকে তিন মাইল দূরে এমন পরিস্থিতিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে পারেন। যে সড়কে যাওয়া-আসা করতে হবে তা উপরের দিকে বেশ খাড়া। তখনও কর্তৃপক্ষ সেই সড়ক থেকে বরফ সরায়নি। বেশ কিছু গাড়ি উপরের দিকে উঠতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তিনি বুঝে গেলেন উবার ডাকা বা নিজে গাড়ি চালিয়ে নেয়ার প্রশ্নই আসে না।
গোল্ডম্যান বলেন, তুষার পড়া এসব দিনে বাসও রোববার ঠিকমতো শিডিউল মেনে চলে না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম হেঁটেই যাবো। করোনা মহামারির সময়ে আমি শক্তি সঞ্চয়ের জন্য হাঁটতাম। তাই হাঁটা আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। ফলে তিন মাইল পথ হাঁটা আমার জন্য খুব বেশি কিছু নয়। কিন্তু গোল্ডম্যান যে হাঁটার কথা বলছেন, তা ছিল স্বাভাবিক হাঁটা। বরফের ওপর দিয়ে নয়। তবু সাহস নিলেন তিনি। বেরিয়ে পড়লেন রাস্তায়। পুরো পথের তিনভাগের দুই ভাগ গিয়ে দেখলেন, বাকিটা পথ হেঁটে যেতে তার কেমন সময় লাগতে পারে। তিনি দেখলেন, পুরো পথ যেতে তার এক ঘন্টা সময় লাগবে।
তিনি বলেন, রোববার সকালে আমি বাসা থেকে বের হলাম। আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল সকাল ৯টা ১০ মিনিটে। আমি বাসা থেকে ৮টার কিছুটা পরে বের হলাম। পুরোটা পথ হাঁটতে আমার সময় লাগলো এক ঘন্টা ৫ মিনিট। তিনি বলেন, তুষারঢাকা পথে হাঁটতে ভালই লাগছিল। খুব সুন্দর লাগছিল চারদিক। আর চারদিক ছিল শান্ত। হাসপাতালে পৌঁছে তিনি টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তারপর সোজা হেঁটে আবার সেই তিন মাইল পথ পেরিয়ে বাসায় ফিরেছেন। তিনি বলেছেন, এই হাঁটা তার জীবনে স্মরণীয়। তিনি মনে করেন, দুটি কারণে তার টিকা নেয়া জরুরি ছিল। তার মতে, ব্যক্তিগতভাবে আমি বাইরে গেলে বেশি স্বস্তি পাই। নিজের কেনাকাটা নিজে করতে পছন্দ করি। কিন্তু করোনাকালে তা মিস করেছি। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় কাটিয়েছি। একজন নাগরিক হিসেবে, আমাদের সবার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি সৃষ্টি করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা আবার জীবনে ফিরতে পারি।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.