নাগরপুর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বলারামপুর ডিজিটাল বাজার থেকে গত ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে তৈরী পোশাক ও কসমেটিস্ এর দোকানের ষ্টিলের ক্যাশ লকার সহ মালামাল চুরি হয়েছে।
উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তফিজ উদ্দিন শেখ এর ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম বাদশা এর তৈরী পোশাকের ও কসমেটিকসের দোকানে ঘটে এ ঘটনা।
এ বিষয়ে দোকানী সিরাজুল ইসলাম (বাদশা) বলেন, এলাকায় মাহফিল থাকায় ১৪ তারিখ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে দোকান বন্ধ করে নগদ টাকা স্টিলের লকারে রেখে, মাহফিলে যাই। পরদিন সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি, দোকানের ঝাপের টিনের তাঁরকাট ছোটানো।
পরে, দোকানের ভেতরে গিয়ে দেখি স্টিলের ক্যাশ লকার (ক্যাশ বাক্স) এর ২টি ড্রয়ার মেঝেতে পড়ে রয়েছে, শাড়ি কাপড়, লুঙ্গী, প্যান্ট পিছ, শার্ট পিছ, থান কাপড়, আমার (মো. সিরাজুল ইসলাম) জাতীয় পরিচয়পত্র, আমার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্র সহ নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে অজ্ঞাত নামা চোর বা চোরেরা।
গতকাল বিকেলে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর এলাকাবাসী সূত্রে বাদশা জানতে পারেন, তার দোকানের স্টিলের লকার (ক্যাশ বাক্স) বলারামপুর কবরস্থানের পূর্ব পাশের মনতাজের ছেলে আব্দুল হামিদের সরিষা ক্ষেতে তালা ভাঙ্গা, পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
পরে বাজারের দোকানী ও এলাকাবাসীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কিছু ক্যাশ মেমো ছাড়া আর কিছুই নেই। তবে ধারনা করছি মাদকের সাথে সম্পৃক্ততারাই এমন কাজ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এমন দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় আমি ব্যবসার পুঁজির প্রায় সর্বস্ব হারিয়ে আজ নিঃস্ব প্রায়। এই অজ্ঞাত চোর/চোরদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এরা যাতে আমার মত আর কোন ব্যবসায়ীকে সর্বস্বান্ত না করতে পারে, এজন্য তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে বলারামপুর ডিজিটাল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মীর ছানোয়ার হোসেন ছানা বলেন, মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ের সাথে যারা জড়িত, তারাই হয়তো এ ধরনের কাজ করেছে। আমি এই বাজারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আর বাদশা আমার বাজারের একজন ভালো বণিক। তার দোকানে এমন ঘটনা ঘটেছে, যা মেনে নেয়া যায় না। গত সপ্তাহেও এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে এই বাজারে। তাই আমি এসব চুরি ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছি।