তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ধর্ষণকারীরা যে পরিচয়ই ব্যবহার করার চেষ্টা করুক না কেনো, তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সরকার বদ্ধ পরিকর।
সোমবার (৫ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনভিত্তিক শিশুতোষ গ্রন্থ ‘‘আমি হবো আগামীদিনের শেখ হাসিনা” এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে শেষে এক প্রক প্রশ্নে জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি গতকাল একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সরকারের জবাবদিহিতার কারণে খুন ধর্ষণের মতো ঘটনা বাড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমতো যারা এধরনের অপকর্মের সাথে যুক্ত, যারা এগুলো করছে তারা হচ্ছে দুষ্কৃতিকারী। তাদের অন্য কোন পরিচয় থাকতে পারে না। সরকার এ ধরনের দুষ্কৃতকারিদের কঠোর হস্তে দমনের জন্য বদ্ধপরিকর। ইতোপূর্বেও এধরনের যেসমস্ত ঘটনা ঘটেছে সেগুরোর অনেকগুরোর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক শাস্তি কার্যকরও করা হয়েছে। এধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি তা কিন্তু নয় আগেও ঘটতো। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এতো ব্যাপকতা ছিল না ফলে এ ঘটনা গুলো আড়ালে থেকে যেতো। এখন বেশির ভাগ ঘটনা আড়ালে থাকে না। সব ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে এ বিষয়টি ভালো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা সোচ্চার ও এ বিষয়গুলো তুলে ধরছেন সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। আমরা সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এধরনের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহজ হচ্ছে। এধরনের ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপদেয়া মাঝে মধ্যে বিএনপির পক্ষে অপচেষ্টা চালানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপিতো দলীয় ভাবে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ করেছেন। ২০০১ সালের পর ৮ বছরের শিশু, অন্তঃশ্বর্তা নারীকেও ধর্ষণ করা হয়েছে এবং পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে সেখানকার নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও অনেকে বয়ে বেড়াচ্ছে। সুতরাং বিএনপির মুখে যারা দলীয়ভাবে এ সমস্ত অপকর্ম করেছে এবং দলীয়ভাবে কোন শাস্তির ব্যবস্থা তারা করেনি। এধরনের অপকর্মের সাথে দলীয়ভাবে যুক্তছিল৷ বিএনপি এধরনের ধর্ষণের সাথে দলীয়ভাবে যুক্তছিল। সুতরাং যারা এ অপকর্মের সাথে দলীয়ভাবে জড়িতছিল তাদের এনিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার কতটুকু আছে সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন।