...
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

ব্যবসায়ীরা ইলিশ রপ্তানির সুযোগ চান

যা যা মিস করেছেন

ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। বেশিরভাগ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উপচে পড়ছে রুপালি ইলিশে। সাগরে ও নদীতে অনেক মাছ পাওয়ায় খুশি জেলেরাও। কিছুটা কম দামে পাওয়ায় প্রচুর কিনছেন ক্রেতারাও। প্রতিদিন ব্যাপক পরিমাণ কেনাবেচার পরও উদ্বৃত্ত থাকছে মাছ। এমন প্রেক্ষাপটে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ইলিশ রপ্তানির সুযোগ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, বিদেশে এ দেশের ইলিশের ভালো চাহিদা রয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও বিদেশিরা সুস্বাদু এ মাছ খেতে ভালোবাসেন। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলিশ দিতে না পারায় অনেক ক্রেতা চিংড়িসহ অন্য মাছ নিচ্ছেন না। তারা আদেশ বাতিল করে অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন বলে খবর মিলছে। অন্যদিকে, কয়েক বছর ধরে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে প্রচুর মাছও পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় হিমায়িত ইলিশ রপ্তানির সুযোগ চেয়েছেন তারা।

মাছ রপ্তানিকারক অনেক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনও (বিএফএফইএ) সম্প্রতি আলাদাভাবে ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। সংগঠনটি এ জন্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি বেলায়েত জানান, তারা অনেক দিন ধরে রপ্তানির অনুরোধ করে আসছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে মাঠ পর্যায়ের চিত্র তুলে ধরে জানিয়েছেন, দেশে যে পরিমাণ ইলিশ এখন পাওয়া যাচ্ছে, তাতে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। ইলিশ দিতে না পারায় অন্য মাছের অর্ডার হাতছাড়া হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে অন্য হিমায়িত মাছের ক্রয়াদেশ ২৫ শতাংশ বেশি পাওয়া যেত। তিনি জানান, এক কনটেইনার অন্য মাছের সঙ্গে ১০ থেকে ২০ টন ইলিশ যায়। অথচ প্রতিনিয়ত ইলিশ পাচার হচ্ছে।

চলতি বছরে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এরও অনেক আগে থেকে বন্ধ হয়ে যায় মাছ ধরার স্বাভাবিক কার্যক্রম। এত দীর্ঘ বিরতি ও নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছের প্রজনন হয় নির্বিঘ্নে। মাছ ধরাও পড়ে প্রচুর। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সাগর ও নদীতে গেলে প্রচুর মাছ পান। তা ছাড়া এবার বেশি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে নদীতে পানিপ্রবাহ বেড়েছে। এতে আগের চেয়ে অনেক বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে বলে জানান জেলেরা। বিশেষজ্ঞরাও একই কারণ উল্লেখ করেছেন।

ইলিশ-গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, কয়েক বছর ধরে সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। তিনি বলেন, করোনায় ক্ষতি হলেও নদীতে যানবাহন কম চলাচল করায় পানির গুণমান ভালো ছিল। এতে আশা করা যায়, এবার ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বাড়বে। বেশি পরিমাণে এবং বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, ইলিশের বাড়তি উৎপাদন থেকে চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ইলিশ রপ্তানির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিবেচনা করা উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.