অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিনজো অ্যাবে জানান, অসুস্থতার কারণে তাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদত্যাগ করার কারণে এ সময় জাপানের জনগণের কাছে ক্ষমা চান অ্যাবে।
এর আগে জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি জানিয়েছিল যে, আজই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন ৬৫ বছর বয়সী শিনজো অ্যাবে।
দীর্ঘদিন ধরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা ছাড়াও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অ্যাবে। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী অ্যাবে অনেক দিন ধরেই স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছিলেন।
স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে এর আগে মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যাবে। ওই সময় মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি, যা যুদ্ধ পরবর্তী জাপানে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অ্যাবের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। কারণ প্রায় ৫০ দিন যাবত তিনি কোনও প্রেস কনফারেন্সে অংশ নেয়া থেকে বিরত ছিলেন। মধ্য জুন থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত এই সময়ে তিনি বেশ কয়েক দফা হাসপাতালেও গিয়েছেন।
এদিকে স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছাড়াও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তার সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও সমালোচিত হয়েছেন অ্যাবে।
ইনাদা সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরসূরি না পাওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন অ্যাবে। ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে নির্বাচনে উত্তরসূরি খোঁজা হবে। শিনজো অ্যাবে সরাসরি পদত্যাগ করলে কিংবা পদত্যাগের ইচ্ছার কথা ঘোষণা করলে এলডিপি পার্টিতে অভ্যন্তরীণ নির্বাচন হবে, যেখানে তাঁর বিকল্প একজনকে দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে। এরপর সংসদীয় ভোটাভুটির মাধ্যমে নবনির্বাচিত পার্টি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে।