কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয়কারী মো. রাশেদ খানকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ রবিবার মিরপুর-১৪ নম্বর থেকে শাহবাগ থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে (৫৭ ধারা) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক আল-নাহিয়ান খান জয়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা বিষয়ে জয় ইত্তেফাককে বলেন, গত ২৭জুন রাশেদ ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে। যার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়, এ জন্য মামলা করেছি।
এর আগে রাশেদের আত্মীয় ও বন্ধুরা অভিযোগ করেন, আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাশেদকে ধরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রাশেদের সঙ্গে থাকা মাহফুজ খান নামের অপর একজনকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তাঁদের অভিযোগ।
পরে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাশেদের বন্ধু বিন ইয়ামিন বলেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি, রাশেদ ও মাহফুজ ভাষানটেকের মজুমদার মোড়ে রাশেদের আত্মীয়ের বাসার সামনে ছিলেন। এ সময় পুলিশের পোশাক পরে ও সাদাপোশাকে কয়েকজন তাঁদের সামনে আসেন এবং তাঁদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে ওই এলাকার কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাও ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের গতিবিধি সন্দেহ হলে রাশেদ পাশের বাসার ছাদে আশ্রয় নেন। এ সময় সেখান থেকে তাঁকে খুঁজে বের করে আটক করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই রাশেদের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
বিন ইয়ামিন বলেন, রাশেদের সঙ্গে থাকা মাহফুজ খানকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাশেদের বড় বোন রূপালী বেগমও রাশেদের আটক হওয়ার খবর জানিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাইকে ফেরত চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যম বিষয়টি আমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করছে, কিন্তু আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমাদের থানার কেউ রাশেদকে আটক করেনি।’
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।