শুরুটা করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ; বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনার জবাবে এখন সংসদে সরব হতে শুরু করেছেন অন্য সহকর্মীরাও।
তিনি আরও বলেন, ‘একটা বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেটের ভেতর ভালো-খারাপ থাকতে পারে। সেটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। সেই আলোচনা আমরা করছি। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০ তারিখ নির্দেশনা দেবেন। কিন্তু এজন্য অপেক্ষা না করে যারা সমালোচনার নামে কটাক্ষ-কটুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করছেন এটা ঠিক নয়, দুঃখজনক।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাজেট আলোচনায় বলেন, ‘বাজেট নিয়ে অনেক কথা, আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। সংসদ সদস্য হিসেবে, মন্ত্রী হিসেবে একজন নাগরিক হিসেবে এগুলো পড়ছি ও শুনছি। ১৫ শতাংশ ভ্যাট, আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রে সুদ হার নিয়ে সব কথা হচ্ছে। সবাই অর্থমন্ত্রীর দিকে তীর ছুঁড়ছেন, তাকে দোষারোপ করছেন। মনে রাখতে হবে অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশাল বাজেট উপস্থাপন করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাট আইন, আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার এই তিনটি বিষয় নিয়ে বাজেট নয়। আরও বিষয় আছে। যা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি না। ভ্যাট, সুদ হার ও আবগারি এই তিন বিষয়ের এদিক ওদিকে হিসাব করে বাজেট মাপবেন না। এক মুখে অর্থনীতির প্রশংসা আর একদিকে ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী বলবেন এটা হয় না।’
বাজেটে আলোচনায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর মতো একজন ব্যক্তিকে নিয়ে আমরা গৌরব বোধ করি। তাকে নিয়ে যেভাবে কথা বলা হয়েছে তাতে জাতি বিব্রত হয়েছে। আমিও বিব্রত হয়েছি। তিনি সিনিয়র ম্যান। সংসদে এভাবে কথা বলা উচিত না। তাহলে জাতি আমাদের কাছ থেকে কী শিখবে?’