আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দেওয়া শুরু করেছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১টা ২০ মিনিটে তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠানরত এ সম্মেলনে ভাষণ শুরু করেন।
শুরুতেই শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও অনুষ্ঠানে আসা অন্য দলগুলোর অতিথি এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দলের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, একাত্তরেরর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এর পরই তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ‘৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হামলায় শহিদ হওয়া বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদ, সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন যুদ্ধের ক্ষত কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই নেমে এলো ভয়াবহ বিভীষিকা। নির্মমভাবে হত্যা করা হলো স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারকে। আমি পিতৃহারা হলাম। মাকে হারালাম। ভাই হারালাম। স্বজন হারালাম। ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরিবারকে হারিয়ে আমি বাংলার মানুষের কাছে ফিরে এসেছিলাম। বাবার স্নেহ ফিরে পেতে আমি এসেছি এ দেশের মানুষের কাছে। এসেছি মায়ের স্নেহ ফিরে পেতে। ভাইয়ের ভালোবাসা ফিরে পেতে আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভাবে বেঁচে থাকা যে কী কষ্টের, তা যাদের স্বজন হারিয়েছে, শুধু তারাই বুঝতে পারে।’ শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ধরে রেখেছে এর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তারাই দলের প্রাণ।
আজ সকাল ১০টার দিকে এ সম্মেলন শুরু হয়। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। বিদেশি অতিথিরাও বক্তব্য দেন।
ঐতিহ্যবাহী দলটির সম্মেলনকে ঘিরে আজ কয়েক দিন ধরেই এই উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীজুড়ে। নগরের বিভিন্ন জায়গায় রং–বেরঙের ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে। অনেক জায়গায় তৈরি করা হয়েছে ব্যানার। এ সম্মেলন উপলক্ষে পুরো নগরীতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
সম্মেলন উপলক্ষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণে মুখরিত।