চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানার ট্যাংক বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃসরণের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্মকর্তার গাফিলতিকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারখানার উপ প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এবং মহা ব্যবস্থাপক (ব্যবস্থাপনা) তাদের দায়িত্ব ‘সঠিকভাবে পালন করেননি’।
দুর্ঘটনায় গ্যাস ছড়িয়ে অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার নয় দিনের মাথায় বুধবার এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে। পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের সামনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৫০০ টন ধারণক্ষমতার ওই ট্যাংকে ৩৪০ টন গ্যাস ছিল জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, “অ্যামোনিয়া ট্যাংকটির নিরাপত্তার জন্য পাঁচ ধরনের সুরক্ষা যন্ত্র ছিল; যার সবগুলোই ছিল অকেজো।”
কারখানার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, আন্তঃবিভাগীয় সম্বন্বয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে স্বচ্চতা আনা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য পাঁচ দফা সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
গত ২২ অগাস্ট রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী আনোয়ারা উপজেলার ডিএপি সার কারখানার অ্যামোনিয়া ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অর্ধশতাধিক মানুষ। আশপাশের ঘেরের মাছ মরার পাশাপাশি গাছের পাতাও বিবর্ণ হয়ে যায়। অ্যামোনিয়া মিশে জলাশয়ের পানির রঙ পাল্টে যায়।
জেলা প্রশাসক পরদিন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করার কথা জানান।
বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড করপোরেশনের (বিসিআইসি) পক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটি গত রোববার তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
