মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর জনতার হাতে আটক গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে ওই মামলায় আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে বলে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ মামলাটি করে। এতে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আটক এক আসামি থানা হাজতে রয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে কয়েকটি টিম কাজ করছে।
মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান বাদী।
এই ছয়জন হলেন- ঘটনাস্থল থেকে আটক গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিম, সালমান তাসকিন, শাহরিয়ার হাসান, জাহিন, রায়হান ও মেজবাহ।
ফাহিমই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাকিদের নাম বলেছে জানিয়ে ওসি বলেন, “দেশের দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গি কর্মকাণ্ড বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নিয়ে মাদারীপুরে প্রথম হামলা চালায় তারা।”
১৮ বছরের ফাহিম উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে রসায়ন বিজ্ঞানের পরীক্ষা না দিয়েই সে ১১ জুন সকালে ঢাকার দক্ষিণ খানের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়।
একদিন পর ফাহিম তার বাবার মোবাইল ফোনে এসএমএস করে বলে, “বিদেশ চলে গেলাম, এছাড়া কোনো উপায় ছিল না। বেঁচে থাকলে আবারও দেখা হবে।”
বিষয়টি জানিয়ে ফাহিমের বাবা গোলাম ফারুক দক্ষিণ খান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর বুধবার মাদারীপুরে ছেলের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পান তিনি।
মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার বরিশালের হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর জবানবন্দি শোনেন। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তারা কথা বলেন।
পরে পরিদর্শক সাংবাদিকদের বলেন, “গভীরভাবে তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই ফলাফল পাওয়া যাবে।”
‘তদন্তের স্বার্থে’ এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি না হলেও গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে ফাহিমের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছেন তারা।