মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থিন কিয়াওকে নির্বাচন করেছেন আইনপ্রণেতারা।এর মধ্যদিয়ে ৫০ বছরেরও বেশি সময় সেনা শাসনের অধীনে থাকা দেশটি প্রথমবারের মতো বেসামরিক প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে।
বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইনপ্রণেতারা তিনজন প্রার্থীর মধ্য থেকে থিন কিয়াওকে বেছে নেন।
থিন কিয়াও দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এরআগে সোমবার পার্লামেন্টের স্পিকার মান উইন খাইং থান নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাভুটির জন্য মঙ্গলবারকে চূড়ান্ত করেন।
গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চূড়ান্ত তিন প্রার্থীর মধ্যে অং সান সু চির দীর্ঘদিনের সহযোগী থিন কিয়াও এগিয়ে ছিলেন।
১ এপ্রিল থেকে নতুন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শুরু হবে।গেল বছর ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগোরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সাংবিধানিক বাধার কারণে সু চি প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী হতে পারেননি।
সামরিক জান্তা আমলে তৈরি মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, সন্তান বিদেশি নাগরিক এমন কেউ প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। সু চির প্রয়াত স্বামী যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিলেন। তার দুই সন্তানও যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
মিয়ানমারের পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসনের স্থায়ী সদস্য দেশটির সেনাবাহিনী।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সু চির সঙ্গে সেনাবাহিনীর কয়েক দফা আলোচনার পর এনএলডি তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কিয়াও এর নাম ঘোষণা করে।
যদিও নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই সু চি ঘোষণা করেছিলেন তিনি প্রেসিডেন্টের ‘উপরে’ থেকে দেশ পরিচালনা করবেন।
মিয়ানমারের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, পার্লামেন্টের উভয়কক্ষ থেকে একজন করে প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পাবেন। এছাড়া, সেনাবাহিনী তাদের একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে।
যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। বাকি দুইজন ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
কিয়াও ছাড়া বাকি দুই প্রার্থী ছিলেন, এনএলডির হেনরি ভন টিও এবং সেনাবাহিনীর প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিন্ট সউই।