...
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

হবিগঞ্জের চার শিশু হত্যার অন্যতম আসামি বাচ্চু মিয়া বন্দুকযুদ্ধে নিহত

যা যা মিস করেছেন

Hobigong the mail bd

হবিগঞ্জের বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশুকে হত্যার ঘটনার অন্যতম আসামি অটোরিকশা চালক বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চুনারুঘাট দেওরগাছ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে র‍্যাব।  ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও র‍্যাব জানায়।  পুলিশ জানায়, চার শিশুকে অপহরণ ও পরে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বাচ্চু।  তার অটোরিকশাটি ওই ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, চার শিশু হত্যার আসামিদের ধরতে র‌্যাব সদস্যদের অভিযানের মধ্যে সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে বুধবার রাতে শাহেদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ জানায়, রাতেই দেওরগাছ এলাকা দিয়ে বাচ্চু ভারতে পালিয়ে যাবে।  বিষয়টি জানার পর র‌্যাবের আরেকটি দল ওই এলাকায় অভিযানে যায়।  র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাচ্চু ও তার লোকজন গুলি চালালে আমাদের দুই সদস্য আহত হন।  তারা পাল্টা গুলি চালালে বাচ্চু মারা যায়।”

বাচ্চুর লাশ চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখা হয়েছে।  ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দুটি গুলি উদ্ধারের কথাও বলেছে র‌্যাব।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে স্কুল নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।  পাঁচ দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের ঈসা বিল এলাকায় তাদের লাশ মাটিচাপা অবস্থায় পাওয়া যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের পরিবারের বিরোধ দীর্ঘদিনের। মাসখানেক আগে সীমানা বিরোধ ও গাছ কাটা নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।  পরে বিষয়টি সালিশেও গড়ায়।

পুলিশ লাশ উদ্ধারের দিনই এক পঞ্চায়েতের নেতা আব্দুল আলী বাগাল ও তার ছেলে জুয়েল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।  তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।  পরে আব্দুল আলী বাগালের আরেক ছেলে রুবেল মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে বেরিয়ে আসতে থাকে তথ্য।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রুবেলের জবানবন্দির বরাত দিয়ে হবিগঞ্জের এসপি জয়দেব কুমার ভদ্র সাংবাদিকদের বলেন, দুই পঞ্চায়েতের বিরোধ মেটাতে যে সালিশ বসেছিল, সেখানে বাগালের সমর্থক আরজু ও অটোরিকশা চালক বাচ্চু মিয়া ‘অপমানিত হওয়ায়’ তালুকদার পঞ্চায়েতের শিশুদের হত্যার পরিকল্পনা করে।

এরপর বাচ্চুর অটোরিকশা ব্যবহার করে গ্রাম থেকে চার শিশুকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ওই রাতেই শ্বাসরোধে খুন করে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয় বলে পুলিশের ভাষ্য।

বাচ্চুর অটোরিকশা, আরজুর বাড়ি থেকে কোদাল আর শাবল, কয়েকটি বস্তা এবং একটি রক্তমাখা পাঞ্জাবি উদ্ধারের কথাও সেদিন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।  রুবেলের ভাই জুয়েল মিয়া এবং এ মামলায় গ্রেপ্তার আজিজুর রহমান আরজু মিয়াও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.