দগ্ধ হয়ে চা বিক্রেতার মৃত্যুর পর রাজধানীর শাহ আলী থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশাসন) এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চারজনের মধ্যে দুজন এসআই, একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল। তবে তাত্ক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
বাবুলের পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাত ৯টায় মিরপুর ১ নম্বর গুদারাঘাটে চাঁদা না পেয়ে পুলিশ চা বিক্রেতা বাবুল মাতুব্বরের কেরোসিনের চুলায় বাড়ি মারে। এতে কেরোসিন ছিটকে বাবুলের গায়ে লাগে এবং আগুন ধরে যায়। চাঁদা না দেওয়ায় পুলিশ বাবুলের ওপর চড়াও হয়েছিল তারা জানান।
দগ্ধ চা বিক্রেতা বাবুল মাতুব্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আগুনে তার শরীরে ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
এদিকে ঘটনা তদন্তে পুলিশের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপকমিশনার (মিডিয়া) বলেন, মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এবং সহকারী কমিশনার কে নিয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর থেকে উপকমিশনার (ডিসিপ্লিন) কে ঘটনাটি আলাদাভাবে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার প্রসঙ্গে উপকমিশনার (মিডিয়া) বলেন, ঘটনার সময় তারা এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন। প্রত্যাহার করে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তাদের কোনো গাফিলতি আছে কিনা।
পুলিশ বাবুলের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, পুলিশ নয়, সোর্স দেখে পালাতে গিয়ে বাবুল দগ্ধ হন। বাবুল নিজেও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ।