অমর একুশে বইমেলায় বাড়তি নিরাপত্তার পরিকল্পনা করেছে মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি; এবার বাড়ানো হচ্ছে মেলার পরিসরও। সোমবার বইমেলা উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে একাডেমির এক সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
তিনি বলেন, “অতীতের সমস্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বইপ্রেমীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে।”
তবে ছুটির দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে বলে জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী।
মেলার পরিসর বাড়ানোর কথা জানিয়ে নূর বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চকেও এবার মেলা প্রাঙ্গণের মধ্যে নিয়ে আসা হবে।
“একই সঙ্গে উদ্যানের ভেতরের অংশের মেলার পরিসর বাংলা একাডেমির সংলগ্ন রাস্তার কাছাকাছি নিয়ে আসা হবে, যাতে অন্যবারের মতো দূরে মনে না হয়।”
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই টিএসসি এলাকায় খুন হন মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “বিঘ্ন ঘটানো কঠিন কিছু নয়। একজন বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ১০ জন সাধারণ মানুষের ক্ষতি করতে পারে। সেদিক বিবেচনায় আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুরো মেলা ও এর আশপাশের এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায় থাকবে। পাশাপাশি লাইটিংও থাকবে বেশি এলাকাজুড়ে।”
এছাড়া আর্চওয়েতে নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি বাধা পার হয়ে মেলায় প্রবেশ করতে হবে বলে সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “প্রকাশকদের বই আনা নেওয়ার জন্য আলাদা ফটকের ব্যবস্থা থাকবে, যাতে বই আনা নেওয়া সহজ হয়।”
মেলার প্রবেশপথ টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর সড়কে ও ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান বন্ধে কঠোর হওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী।
গত বইমেলা চলা অবস্থায় ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার’ অভিযোগ এনে রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, “বইমেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালার বাইরে কোনো প্রকাশনীকে মেলায় আসতে দেওয়া হবে না।”
প্রকাশকদের সঙ্গে বৈঠকে নীতিমালার বিষয়টি তাদের জানিয়ে দেওয়ার হবে বলে তিনি জানান।