শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন এক কলেজের ৩৫ শিক্ষার্থী

যা যা মিস করেছেন

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৩৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। 

রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৩৫ শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ছেলে ২০ জন ও মেয়ে ১৫ জন।

কলেজটি থেকে প্রতিবছর উত্তীর্ণ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী শুধু মেডিকেল কলেজ নয় রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। রেকর্ড পরিমাণ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।

৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নিলয়, পারভেজ, কানিজ ফাতেমা, মাইশা ঢাকা মেডিকেল কলেজে, রাকিবুল ইসলাম সিফাত, সাদিকুল হাবিব, রেজওয়ানা রিতু, ওহনা, তাসিন বিনতে রিয়াজ, নাজিয়া নুসরাত ইমু, নাফিস ফুয়াদ, আফ্রিদি হাসান সিয়াম, বৃষ্টি রায়, তমালিকা হক রংপুর মেডিকেল কলেজে, সায়েম, জান্নাতুল ফেরদৌস, সানজিদা শর্মি, আফিয়া ইবনাত, সেজানুর রহমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজে, শহীদ আফ্রিদি, ধীরাজ রায়, রাফিন সাদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে, রাফিয়া সুলতানা মাগুরা মেডিকেল কলেজে, জিসান রসুল, শ্রী দেবী রায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে, নওশিন নিধি মুগধা মেডিকেল কলেজে, ইসরাত জাহান পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে, ইশতিয়াক বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে, মুনতাসির শিহাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে, সানজিদা ফারজানা মেধা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে, শাহরিয়ার হোসেন শিমুল পাবনা মেডিকেল কলেজে, আহসান হাবিব ইমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে, দীপংকর রায় দিব্য খুলনা মেডিকেল কলেজে, রিজভী নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজে ও আসাদুজ্জামান আসাদ নীলফামারী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে ২৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ২২৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জনসহ পাস করেছে শতভাগ। তারমধ্যে এবার ৩৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালে ৩৯ জন, ২০২১ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল।

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। বরাবরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করেন এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রাখেন।

অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক  বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতিবছর আশানুরূপ ফলাফল করছে শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের পূর্বের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে কেবলমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security