বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবাঞ্ছিত ঘোষিত কিছু সাবেক সেনা সদস্য বিদেশে বসে দেশ ও সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।বুধবার আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও পেশাদার বাহিনী এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তৈরি ৪৯ বছরের অভিজ্ঞ এ সেনাবাহিনী বর্তমানে পেশাগতভাবে দক্ষ ও পরিপক্ক, যা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সর্বশেষ আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবনকে হাসিমুখে উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সেনাসদস্যরা উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশে এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও তার উন্নত প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্বের বহিঃপ্রকাশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ গভীরভাবে ধারণ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশমাতৃকার সেবায় সর্বদা নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। দেশে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানকে অত্যন্ত সুসংহত করে চলেছে। চলমান করোনা মহামারিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করার পর তার নির্দেশে সেনাবাহিনী করোনা যুদ্ধে জনগণের পাশে থেকে অভূতপূর্ব সেবা প্রদান করে। ফলশ্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীর ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর অবসর গ্রহণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অবসরপ্রাপ্ত প্রতিটি সেনা সদস্য অবসর জীবনে নিজেকে একজন প্রাক্তন সেনা সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন এবং সৎ ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করেন। তবে অবসর জীবনে যদি কোনও প্রাক্তন সেনা সদস্য শৃঙ্খলা বিবর্জিত জীবনযাপন করে যা সামরিক ও বেসামরিক পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করে। তখন তাকে সংশোধনের জন্য দেশের সকল সেনানিবাসে অবাঞ্ছিত বা Persona Non Grata (PNG) ঘোষণা করা হয়।” তাদের এ কর্মকাণ্ড তাদের অবাঞ্চিত করা যে যথার্থ ছিল সেটাই প্রমাণ করে। তাদের এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘৃণ্য অপকর্মে প্রতিটি সেনাসদস্য অত্যন্ত মর্মাহত। কাল্পনিক, বাস্তবতা ও নৈতিকতা বিবর্জিত এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব গল্প বা বক্তব্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না বরং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।