মর্টার শেলের আঘাতে ক্যাম্পের একটি হেলিপ্যাড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশই ওই শেল ছুড়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এলেও কর্নেল হাবিব এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শেলগুলো এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কী ধরনের শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে সে ব্যাপারেও বিস্তারিত জানা যায়নি। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে।”
এই বিজিবি কর্মকর্তা বলছেন, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘বিদ্রোহী বিভিন্ন পক্ষের’ যুদ্ধ চলছে। তাদেরই কারও ছোড়া শেল বিজিবি ক্যাম্পে ‘চলে এসে থাকতে পারে’।
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকা অরক্ষিত। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়েও দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের টানাপড়েন রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
ওই টানাপড়েনের মধ্যেই গতবছর জুনে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীতে গোলাগুলির পর এক বিজিবি সদস্যকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বিজিপি। ওই ঘটনায় বিজিবির আরেক সিপাহী গুলিবিদ্ধ হন।
দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা শেষে আট দিন পর অপহৃত সেই বিজিবি সদস্যকে ফিরিয়ে দেয় মিয়ানমার।
তার আগের বছর মে মাসে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে টহলের সময় গোলাগুলির পর নিখোঁজ হন এক বিজিবি সদস্য। দুদিন পর মিয়ানমার তার লাশ ফেরত দেয়।
গতবছর জুলাইয়ে মিয়ানমারের ‘অপহৃত’ দুই সেনাসদস্যকে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে উদ্ধার করার পর তাদের ফেরত পাঠায় বিজিবি।
পরে বলা হয়, আরাকানি মিলিশিয়া গ্রুপ নামে মিয়ানমারের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ওই দুই সেনা সদস্যকে অপহরণ করে বাংলাদেশ সীমান্তের এপারে নিয়ে এসেছিল।