মোঃ জামিল আহমদ (সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি) :
সুনামগঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রথম দিনে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা নিলেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখ্ত, সহ জেলার বিশিষ্ঠজনরা। রবিবার সকাল ১০টায় করোনা ভাইরাসের টিকাগ্রহন করে জনপ্রতিনিধিরা এ কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন,সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন,পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা,হাসপাতালের আর এম ও ডা. রফিকুল ইসলাম,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপ পরিচালক ডা. মোজাম্মেল হক,সহকারী পরিচালক ডা. ননী ভূষন তালুকদার, প্রমুখ।
আজ রবিবার সকাল থেকে জেলা সদর হাসপাতালসহ ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেকে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের সকল প্রকার কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। জেলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতলের নুতন ভবণের নীচ তলার বাম পাশের একটি কক্ষে শয্যা,চেয়ার টেবিলসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ স্থাপন করে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সদর হাসপাতালের ৮টি বুথে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে তিন করে করোনা বুথ স্থাপন করা হয়েছে। জেলার ১১ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩ টি বুথ ও সদর হাসপাতালের ১০ টি বুথে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া চলছে।
প্রতিটি বুথে একজন টিকাদান কর্মী দায়িত্বে একজন চিকিৎসক একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক টিকা প্রদানকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ২ জন টিকাদান কর্মী এবং চারজন করে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করা হয়েছে। জরুরী কোন সমস্যা দেখা দিলে কুইক রেসপন্স টিম সব রকমের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি বুথে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিমিটার, পাল্স মিটার,ইনজেকশন কার্সন,বিপি সহ প্রয়োজনীয় মেডিকেল উপকরণ থাকবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ টিকা প্রদানের জন্য ডাক্তার, নার্স, আয়া, ব্রাদারসহ ফ্রন্ট লাইনাদের টিকা প্রদানের তালিকা প্রস্তুত করেছেন।
এছাড়াও টিকা গ্রহণকারীদের সহযোগিতার জন্য এএফআই ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছেন। সুরক্ষা অ্যাপস দিয়ে টিকা প্রদানকারীদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের আইটি তৈরি করা হয়েছে। তারা সুরক্ষা অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশনকারীদের সেবা প্রদান করবেন।
মেয়র নাদের বখ্ত বলেন, সুনামগঞ্জে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জেলাবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আমার কোনো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না আমি পুরোপুরি সুস্থ আছি।