নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশি কূটনীতিবিদদের আশ্বস্ত করে সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
গুলশানে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
কর্মকর্তারা জানান, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে ব্রিফিংয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
গত শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে ওিই বেকারিতে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি; দেশি বিদেশি অন্তত ৩৩ জন সেখানে জিম্মি হন। হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।
সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের মধ্যে এক প্রকার নিরাপত্তা সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ঈদে কূটনীতিক জোনের নিরাপত্তা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে সংশয়। এ নিয়ে যোগযোগ করা হয় গুলশানের ডিপ্লোমেটিক জোনের পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) এর সঙ্গে।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, ‘সবসময়ই কূটনৈতিক পাড়ায় একটু বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তবে হোলি আর্টিসানে হামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে।’
ঈদে বিশেষ কী ধরনের নিরাপত্তা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যায়। বেড়ে যায় অপরাধ প্রবণতাও। এসব বিষয় মাথায় রেখেই কূটনৈতিক পাড়ার নিরাপত্তা ছক সাজানো হয়েছে।’
কূটনৈতিক পাড়ার প্রবেশের দু’টি পথে বসানো হয়েছে ৪টি চেকপোস্ট। প্রতিটি চেকপোস্টের দায়িত্বে একজন করে সিনিয়র কর্মকর্তা থাকবেন। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের অবগত করবেন, যোগ করেন ডিসি জসিম উদ্দিন।
তিনি আরো বলেন, ‘দূতাবাসগুলো চাইলে তাদের পুলিশ স্কট দেয়ার প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। তাছাড়া এখানে সেক্টরভিত্তিক নিরাপত্তা দেয়া হবে।’