ইন্দোনেশিয়ার নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইয়োহানা সুসানা ইয়েমবাইস এবং জাকার্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আজমল কবির বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার সফরের প্রথম দিনে জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারের (জেসিসি) প্লিনারি হলে লিডার্স ওয়েলকামিং ডিনারে অংশ নেবেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে সকালে অ্যাসেম্বলি হল-৩-এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে তিনি সম্মেলনের ‘অ্যাডপসন অব দ্য এজেন্ডা অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব ওয়ার্ক’ বিষয়ক ওপেনিং অধিবেশনে যোগ দেবেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনের পরে দুটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। একটি সম্মেলনের প্রতিবেদনগুলোর সারসংক্ষেপ অধিবেশন এবং অপরটি ‘এডপশন অ্যান্ড সাইনিং অব আউটকাম ডকুমেন্ট অব সামিট’। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুটি অধিবেশনেই যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ‘স্ট্রেংদেনিং মেরিটাইম কো-অপারেশন ফর এ পিসফুল, স্টেবল অ্যান্ড প্রোপারাস ইন্ডিয়ান ওশান রিম’ শীর্ষক এক সাধারণ ডিবেট অধিবেশনে যোগ দেবেন।
এছাড়া সফরকালে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে এক মধ্যহ্নভোজে অংশ নেবেন এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ওইদুদু এবং শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা শ্রীসেনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
তিনি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিন দিনের সফর শেষে বুধবার শেখ হাসিনা জাকার্তার হালিম পারদনা কুসুমা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি একই দিন বাংলাদেশ সময় অপরাহ্নে হজরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী রয়েছেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মতলুব আহমেদের নেতৃত্বে ৬০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও এই সফরে গেছেন।