...
রবিবার, জুন ১৬, ২০২৪

শার্শায় মিটার ‘রিডিং’ না দেখেই অফিসে বসে করা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল,গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ

যা যা মিস করেছেন

আবু বকর ছিদ্দিক রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল করা ও সময় মত বিল এর কাগজ গ্রাহকের বাড়িতে না পৌছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যশোরের বাগআঁচড়া অঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর আওতায় বাগআঁচড়া সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ গ্রাহকরা।

প্রতি মাসে বাড়ি বাড়ি যেয়ে মিটার রিডিং না নেওয়া ও সময়মত বিদ্যুৎ বিল বাড়িতে পৌঁছে না দেওয়া টা তাদের নিয়মে পরিনত হয়েছে।গ্রাহকরা বলছেন,কয়েক মাস ধরে চলছে এ অবস্থা।অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

বাগআঁচড়ার জামতলা এলাকার আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখ প্রতিমাসের ২৬ তারিখ।অথচ ২৪মে শুক্রবার পর্যন্ত এলাকার কেউই মে মাসের বিলটি হাতে পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

একজন বিদ্যুৎ গ্রাহক লেছি ইয়াসমিন বলেন,মিটার রিডাররা প্রতিমাসে না এসে মাঝে মাঝে আসে।সব সময় তারা অনুমান নির্ভর বিল করে থাকে।এতে প্রকৃত বিল আমরা দিতে পারি না।বিশেষ বিশেষ সময় মিটার দেখে রিডিং নিয়ে আমাদের উপর বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয়।

অনুমান নির্ভর বিদ্যুৎ বিল হলেও, এত টাকার বিল তো হওয়ার কথা নয়। আর তারা অনুমান নির্ভর বিল দেবেই বা কেন?

বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা ও মিটার রিডারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর মিটার রিডাররা বাসায় বাসায় গিয়ে মিটারের বর্তমান রিডিং নিয়ে আসেন। সেই রিডিং থেকে আগের মাসের প্রাপ্ত রিডিং বাদ দিলেই এই মাসের ব্যবহৃত বিদ্যুতের হিসাব পাওয়া যায়। সেগুলো বিভিন্ন স্ল্যাব অনুযায়ী হিসাব করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল করা হয়।

মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল করার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।

সামটা গ্রামের সেলিম রেজা বলেন,এদের পলিসিটা হলো এরা দু-চার মাস প্রকৃত বিলের চাইতে ইউনিট কম লেখে।বিশেষ করে জুন ও ডিসেম্বর মাসে প্রকৃত ইউনিট দিয়ে বিল করে তাতে এদের লাভ হচ্ছে বেশি ইউনিটে রেট বেশি পাওয়া যায়। আমরা জনগন আমাদের কিছু করার থাকে না। এ যেন শরতবাবুর শুভঙ্করের ফাঁকি।

জামতলা জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, গত মাসের(এপ্রিল) জামতলা জামে মসজিদের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ওরা দেয়নি।আজ ২৪মে।মে মাসের বিল দেওয়ার শেষ তারিখ ২৬মে অথচ মে মাসের বিলের কাগজও পায়নি।দায় তাদের,অথচ জরিমানা দিতে হবে আমাদের।
একই কথা বলেন সোহেল রানা,তিনি বলেন,আমিও গত মাসের বিলের কাগজ পায়নি।মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দেখে বিল দিলাম। এখনও এমাসের ও বিলের কাগজ পায়নি।

বাগআঁচড়ার গোলাম রব্বানী রিপন বলেন,ওরা আমার মিটারের রিডিং না দেখে বিল করেছে ১২হাজার ৭৩৮ টাকা।এব্যাপারে অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বলছে, ‘তোমার বাড়ি এসি চলে তাই অতিরিক্ত বিল এসেছে।’ অথচ আমার বাড়ি কোন এসি নেই।বুঝিয়েও কোন লাভ হয়নি কারন ওদের রিডিং বই এ লেখা আছে আমার বাসায় এসি চলে।

টেংরা গ্রামের শামীম আহমেদ বলেন,গত মাসে এক দিন আগে বিলের কাগজ পাইছি।বিদ্যুৎ অফিসের লোকেদের গ্রামে কিছু খাসচামচা (ইলেকট্রিশিয়ান)আছে যাদের কাছে বিদ্যুৎ বিলের কপি দিয়ে যায়।এরাই মুলত গ্রাহকদের কাছে পৌছে দেয়।একারনেই সময় মত গ্রাহকরা বিল হাতে পায় না।

বাগআঁচড়া সাব জোনাল অফিসের এজিএম গাজী সোহরাব হোসেনের কাছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন,বিদ্যুৎ বিল রিডিং যারা করেন তারা বাড়ি বাড়ি গিয়েই তো বিল রিডিং করে।তারা কেন অফিসে বসে বিল রিডিং করবে।এটা কোন সমস্যা না দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।আমাদের নতুন বিল রিডার এসেছে অনেক সময় বাড়ি খুজে পাইনা এজন্য হয়তো দেরি হয়ে গেছে। তবে সব কিছু দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.