শুক্রবার, জুলাই ২৬, ২০২৪

মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে কুষ্টিয়া ম্যাটসে বদলি

যা যা মিস করেছেন

জয়পুরহাট  সংবাদদাতাঃ
মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদীকে কুষ্টিয়া ম্যাটসে বদলি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মেডিকেলে প্রশ্নফাঁস চক্রের মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামী হয়েও পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন। চাকরি বিধি অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা ফৌজদারি মামলায় প্রেপ্তার, কারাবন্দি বা চার্জশিটভুক্ত হলে নির্দোষ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্ত থাকবেন। কিন্তুু ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদী বহাল তবিয়তে পাঁচবিবিতে চাকরি করেছেন।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আকুল উদ্দিন পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদীর পাঁচবিবি থেকে কুষ্টিয়া ম্যাটসে বদলীর আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদীর মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে গেল (১০ জানুয়ারী) রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত হয়েছে। সেই প্রতিবেদন হাতে পাইনি যদিও তদন্তের প্রতিবেদনটি বিভাগীয় পরিচালকের কাছে জমা দিবে।  অনুসন্ধানে জানাগেছে, ২০১৪ সালে ৩৩ তম বিসিএসে নিয়োগ পান ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী। সেসময়ে কর্মস্থল দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ হলেও মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে (২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপর ২০২০ সালে সেই মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
মামলার বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী বলেন, একটি চক্র আমাকে এ মামলায় ফাঁসিয়েছে। পূর্বের পুরনো মামলার জের ধরে আমাকে বারবার সবার সামনে এনে হেনস্থা করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের (৭ আগস্ট) পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদী যোগদান করেন। অল্পদিনে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে চিকিৎসা সেবা, রোগীর ভর্তি বৃদ্ধি ও মানুষের সেবা করে জায়গা করে নেন সর্বস্তরের মানুষের মনে। নিজ উদ্দ্যোগে হাসপাতালে নিয়ে আসেন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, শুরু করেন সিজারিয়ান অপারেশনসহ জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা সেবা। উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালটি এক সময়ে মূখ থুবড়ে পড়ে থাকলেও ডাঃ মেহেদীর যোগদানের পর বদলে যায় চিত্র। রোগী, চিকিৎসক ও মানুষের আনাগোনায় হাসপাতালটি ছিল ভরপুর। একারনে উপজেলার সব মানুষের মনে জায়গা করে নেয় ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদী। সবকিছু যখন ঠিকঠাক চলছিল, তখন হঠাৎ করে খবর আসে ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদীকে অনত্র বদলি করা হয়েছে। বদলির কারন খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদীর মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি। তবে মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security