আজ শনিবার খুলনার খালিসপুরে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৫৮তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা সরকার জনগণের সেবা করবে। আমরা জনগণের সেবক। সে কথা মাথায় রেখেই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছি। ‘গ্রাম পর্যায় থেকে উন্নয়ন হওয়ার পরিকল্পনা আমরাই দিয়েছি।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমাদের সরকার যে উন্নয়ন করেছে, এত উন্নয়ন প্রকল্প আর কোনো সরকার করতে পারেনি। এর শুভ ফলও এদেশের মানুষ ভোগ করছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৮ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকেই জাতির পিতা শুধু গড়ে তোলেননি, তিনি এই দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ হিসাবে গড়ে তোলার সকল পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রিকরণ করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে.. তার মাঝেও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এসে স্বাধীন দেশের উপযুক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি সব সময় এদেশের মানুষের উন্নয়নের কথাই চিন্তা করতেন।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এই বাংলার মাটি থেকে করাপশন উৎখাত করতে হবে। করাপশন আমার বাংলার কৃষক করে না, করাপশন আমার বাংলার মজদুর করে না, করাপশন করে শিক্ষিত সমাজ, যারা তাদের টাকা দিয়ে লেখাপড়া করছি।’ শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কথার স্মৃতিচারণ করেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনের শাসন যাতে মানুষ পায়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
দুর্নীতির ধারণাসূচকে’ চলতি বছরে বাংলাদেশের উন্নতির প্রসঙ্গে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি দূর করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়েছে। আমরা উন্নয়নের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি; তার শুধ ফল দেশবাসী পাচ্ছে।’
যারাই যে প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন; তাদের আগে চিন্তা করতে হবে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আমার দেশের মানুষ সুবিধা ভোগ করবে। এই দেশের মানুষ আপনাদের, আমাদের সকলেরই আত্মীয় স্বজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ কার্যক্রমকে গতিশীল করেছে। বর্তমানে ৮ লাখ টন খাদ্য মজুদের লক্ষ্যে ১৩টি খাদ্যগুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চলতি মেয়াদেই পাঁচ লাখ টন মজুদের খাদ্য গুদাম নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেন। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে।