মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো অবাধ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন আজ সোমবার শুরু হয়েছে। আজই শপথ নিয়েছেন পার্লামেন্ট সদস্যরাও। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) শতকরা ৮০ ভাগ আসনে জয় লাভ করে। খবর বিবিসি অনলাইনের।
নতুন পার্লামেন্টের এই অধিবেশনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের সামরিক শাসনের অবসান হলো। যদিও এই পার্লামেন্টে ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। এখনো দেশটির প্রধান প্রধান মন্ত্রণালয় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে তারা।
আজ কয়েক শ নতুন পার্লামেন্ট সদস্য আজকের অধিবেশনে যোগ দেন। এনএলডি ছাড়াও অধিবেশনে কয়েকটি ছোট দলের পার্লামেন্ট সদস্যও যোগ দেন।
নতুন পার্লামেন্টের প্রথম কাজ হবে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা। যিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
সু চিকে অবশ্য সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ধরা হচ্ছে না। আজ পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি সু চি।
মিয়ানমারের সংবিধানের একটি ধারায় বলা হয়েছে, যাঁর স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তানেরা বিদেশি নাগরিক, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে পারবেন না। সু চির স্বামী ও দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক। অভিযোগ রয়েছে, সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতেই জান্তা সমর্থনপুষ্ট সরকার সংবিধানে এই ধারা যুক্ত করেছে। সেই সংবিধান এখনো বহাল রয়েছে।