তাসলিমুল হাসান সিয়াম (গাইবান্ধা প্রতিনিধি) : গাইবান্ধা জেলা শহরে যানজট নিরসনে ফোরলেন প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে । এরই ধারাবাহিকতায় শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে রেলগেট পর্যন্ত সড়কের দু-পাশের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে সড়ক ও পথ বিভাগ।রবিবার(২৮-ফেব্রুয়ারী) জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সকালে এ অভিযান শুরু করে। অভিযানে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেয়া হয়।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া জানান, ইতোপূর্বে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য অনেকবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। অবৈধ দখলদারা কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় মাইকিং করা হয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় জনস্বার্থে আজ এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলো।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আখতার জানান-১৯৬২ সালের আগেই এই জমিগুলো অধিগ্রহণ করেছে সরকার। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এটি নিজস্ব জায়গা। আমরা আমাদের নিজস্ব জায়গাতেই কাজ করছি। কাজ করতে গিয়ে দেখি অবৈধ দখলকৃত ব্যাক্তিরা তাদের স্থাপনা আগের জায়গাতেই রেখেছে। তাই এসকেভেটর দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়ক থেকে ডিবি রোড, পুরাতন জেলখানার মোড় হয়ে পুরাতন বাজারের পূর্বদিকের গেট পর্যন্ত ফোর লেন প্রকল্পটির বাস-বায়নের কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় পূর্বদিকে বালাসীঘাট এবং পশ্চিমদিকে পলাশবাড়ি উপজেলা মোড় পর্যন্ত- পুরাতন সড়কটি আরও সম্প্রসারিত হবে। এদিকে বাস টার্মিনালের পশ্চিম পাশ থেকে ডিভাইডারসহ ডিসি অফিস হয়ে পুলিশ সুপারের অফিস পর্যন্ত- ফোরলেন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং পলাশবাড়ি উপজেলা পর্যন্ত- সড়ক প্রশস্ত-করণ করা হয়েছে।
জেলা সড়ক জনপদ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা শহরের যানজট নিরসনে ১৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ফোরলেন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে শুধু নির্দিষ্ট এলাকার সড়ক ৬৬ ফুট প্রশস্ত’ করে ফোরলেন করা হবে। এছাড়া সড়কের উভয় পাশে পথচারী চলাচলের জন্য ফুটপাত, সড়কের মাঝে ডিভাইডার ও তাতে সুন্দর নান্দনিক ফুলের বাগান এবং কাচারী বাজার মসজিদ সংলগ্ন মোড়ে একটি গোল চত্বর ও দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারাও গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহন এবং জমি সংলগ্ন অবকাঠামোর মূল্য পরিশোধ বাবদ ব্যয় হবে মোট ১১০ কোটি টাকা।