ক্যাপসিকাম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন এর চাষ হয়। এটা রান্না কিংবা কাঁচা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। ক্যাপসিকাম সাধারণত লাল, হলুদ, কমলা এবং সবুজ রঙের দেখা যায়।
আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি করে ক্যাপসিকাম রাখলে পেতে পারেন অনেকরকম অসুখ থেকে মুক্তি।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় পুষ্টিবিদরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি যোগ করার পরামর্শ দেন। চলুন জেনে নেই ক্যাপসিকামের কিছু উপকারিতা-
১.ক্যাপসিকামে উচ্চ পরিমাণে লুটেইন এবং জেক্সানথিন পাওয়া যায়। এ কারণে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাপসিকাম খেলে তা চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এছাড়া ক্যাপসিকাম চোখের ছানি এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
২. লাল ক্যাপসিকাম থার্মোজিনেসিসকে সক্রিয় করতে এবং বিপাকের হার বাড়াতে সহায়তা করে। এতে হালকা থার্মোজেনিক অ্যাকশন থাকায় এটি ঝাল মরিচের মতো হৃদস্পন্দন বা রক্তচাপ না বাড়িয়ে বিপাকে সহায়তা করে। এভাবে এটি ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে। লাল ক্যাপসিকামে অন্যান্য শাকসবজি ও ফলের চেয়ে সর্বাধিক পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এ কারণে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী।
৩. ক্যাপসিকামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। ক্যাপসিকামে উপস্থিত এনজাইমগুলি গ্যাস্ট্রিক এবং খাদ্যনালী ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৪.ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং কে দেহের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে, যার ফলে ছোটোখাটো নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। ভিটামিন সি দেহে আয়রন শোষণে সহায়তা করে। এতে দেহে আয়রনের অভাব জনিত সমস্যা দূর হয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং বেটা ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
৫. ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম হাড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।
৬. ক্যাপসিকামে ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি ৬ উভয়ই বেশি থাকে। এই দুটি ভিটামিন স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে। এটি হৃদস্পন্দন নিয়মিত হতেও ভূমিকা রাখে।
এছাড়া একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ক্যাপসিকামের জুস হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা ও পেটের পীড়াজনিত রোগ যেমন গ্যাস হওয়া, ডায়রিয়া, ডিসপেপসিয়া ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া