বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৫, ২০২৪

পীরগঞ্জে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ

যা যা মিস করেছেন

পীরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার নামে উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারি পরিচয়দানকারীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আকতারুল ইসলামের একান্ত সহকারি পরিচয়দানকারি শান্তু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। টাকা দিয়েও ঘর না পেয়ে শান্তুর কাছে টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে উল্টো এক নারীকে মারপিট করার অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শান্তুর বিচার দাবী করে গত ১১ মার্চ বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আয়েশা বেগম নামে এক ভূক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বিশু মোহাম্মদের ছেলে শান্তু
নিজেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারির পরিচয় দিয়ে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায় দুই বছর আগে পৌর শহরের জগথা (হঠাৎপাড়া গ্রামের) মোবারক আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগমের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা, আয়শার বোন হনুফার কাছ থেকে ১১ হাজার ৫’শ টাকা, ননদ জাহানারার কাছ থেকে ১১ হাজার ৫’শ টাকা এবং মেয়ে মুন্নি আক্তারের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। কিন্তু টাকা নেয়ার দুই বছর পার হয়ে গেলেও ঘড় পাইয়ে দেয়নি শান্তু। ঘর পেয়ে তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি কালক্ষেপন করতে থাকেন। গত ৬ মার্চ সকালে শান্তুর কাছে টাকা চাইতে গেলে আয়শাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ও চর থাপ্পর কিল ঘুশি মারে। ভবিষ্যতে শান্তু বা তার পরিবারের কোন লোকের কাছে টাকা চাইতে গেলে ওই নারীকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকিও দেন শান্তু। মারপিটের শিকার হয়ে ঐ নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, শান্তু নিজেকে কখনো পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারি আবার কখনো বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে অনেক জনের কাছে বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার নাম করে বহু টাকা ঘুষ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
মারপিট করার অভিযোগ অস্বীকার করে শান্তু বলেন, কাজটা করে দেয়ার জন্য চা খাওয়া বাবদ দুই হাজার টাকা ঐ নারী তাকে দিয়েছিল। কাজটা না হওয়ায় টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। কাউকে মারপিট বা গালিগালাজ বা হুমকি দেয়া এবং বিভিন্ন জনের কাজ করে দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ সত্য নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম বলেন, শান্তুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আকতারুল ইসলাম বলেন, “শান্তু আমার ব্যক্তিগত সহকারি না। সে আমার অফিসে কাজ করত। অভিযোগ পাওয়ার পর অফিস থেকে তাকে বের করে দিয়েছি। আমিও চাই তার বিচার হোক”।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security