শুক্রবার, জুলাই ২৬, ২০২৪

হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নজর কাড়ছে  নান্দনিক সবজি বাগান

যা যা মিস করেছেন

মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ফাঁড়ি চত্বরের পতিত জায়গায় শীতকালীন সবজি বাগানে ছেয়ে গেছে।এখানে ২০/ ২২  অধিক ধরনের   শাক-সবজি ও ড্রাগন ফল চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক বুলবুল ইসলাম, তিনি বলেন আমি এখানে ফসলের ভাণ্ডারে পরিণত করার চেষ্টা করছি । সচিত্র দেখা মিললো পুরো চত্বরে পতিত জায়গায় শীতকালীন সবজি বাগানের দৃশ্য। যা অনন্য থানার চেয়ে বেশি।
চত্বরে ঢুকলেই নজরকাড়বে থানায় সেবা নিতে আসা যেকোন মানুষের। চোখে পড়ে থানা চত্বরে পতিত জায়গায় লাল-সবুজের সমারোহ।
এ অঞ্চলের জনসাধারণ থানায় সেবা নিতে এসে শাক-সবজি চাষেও পুলিশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন।
সম্প্রতি,হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র  ফাঁড়িসহ আরও বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি ক্যাম্পাসে দেখা গেছে- হরেকরকম ফসল উৎপাদনের দৃশ্য। যা সেবা নিতে আসা জনগণকে শাক সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করবে।
এখানে,বেগুন, মূলা শাক, লাল শাক, কলমি শাক, ফুলকপি,বাঁধাকপি, পেঁপে, পুঁই শাক, ঢেঁড়স, সরিষা শাক, পালং শাক, টমেটো,পিঁয়াজ মরিচ, রসুন, আলু, শিম, হলুদ,আদা, সেই সাথে  ড্রাগন ফলসহ নানা জাতের শাক-সবজি সোভা পাচ্ছে হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে  যা গাইবান্ধা জেলা সব থানার চেয়ে বেশি শাক সবজি চাষ হচ্ছে  ।
জানা যায়, গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেনের উদ্যোগে জেলার থানা ও ফাঁড়ি চত্বরগুলোতে বিভিন্ন জাতের মৌসুমি শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে নানা ফসল রোপণ-বপন ও উৎপাদনে ঝুঁকছে পুলিশ। আর পরিচর্যা করে চলেছেন নিজেরাই। এ থেকে পুষ্টি চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছেন তারা।
হরিনাথপুর ইউনিয়নের  উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো: শাহাদাত হোসেনের দেখা মিললো হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পতিত জমিতে, উপপরিদর্শক সহ পুলিশদের পরামর্শ দিচ্ছে। তিনি বলেন পতিত জমি গুলো কে আবাদের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। সেই সাথে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করত উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে ।
এদিকে,হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মো বুলবুল ইসলাম বলেন,আমি নিজের টাকা দিয়ে শ্রমিককে দিয়ে সবজি চাষের জমি নিড়িয়ে নিচ্ছি।
পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় পতিত জায়গা আমাদের থানা চত্বরে নানা ধরণের শাক-সবজি উৎপাদন করছি। এতে করে সকল পুলিশ সদস্যদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন,এ জেলার মাটি কৃষি ফসল উৎপাদনে অত্যন্ত উপযোগী। এখানে বাণিজ্যিকভাবে শাক-সবজি আবাদ করাসহ পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষে পারিবাবারিক পুষ্টিবাগান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থানা চত্বরগুলোতে ফসল উৎপাদন ক্ষেত্রে পুলিশকে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন কল্পে পুলিশের শোব ইউনিট চত্বরের পতিত স্থানে বিভিন্ন প্রজাতির মৌসুমি শাক-সবজি চাষ করা হচ্ছে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security