প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে তিনি আরও ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে চান। এ মাসেই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির উদ্বোধন হচ্ছে। এছাড়া আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে। ’
তিনি জানান, ‘নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। এর মধ্যে নেপালের সঙ্গে আমরা সমঝোতা স্মারক সই করেছি।’
এ সময় বিদ্যুতের বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তাজুল ইসলাম, বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস, জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, নেপালের জ্বালানি-পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী বারসামান কুন অনন্তসহ আরও অনেকে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আজ আমরা ৪৭ লাখ গ্রাহক থেকে ৩ কোটি ৮ লাখ গ্রাহকে উন্নীত হয়েছি। আমরা স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে চাই। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশ হবে উদ্ভাবনী বাংলাদেশ।’
নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী বারসামান কুন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সমোঝতা স্মারক সই করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে উভয়দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। আগামী ১০ বছরের মধ্যে নেপাল ১৫ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।’
বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে। সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। ইতোমধ্যে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের সার্বিক সাফল্য জনগণের কাছে তুলে ধরাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ পালনের মূল লক্ষ্য।