![Artisan bakery gulshan the mail bd](http://themailbd.com/wp-content/uploads/2016/07/Artisan-bakery-gulshan-the-mail-bd.jpg)
গুলশান হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড তৈরির কাঁচামাল ও অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন-আবু তাহের (৩৭), সেলিম (৪৫) ও মোহম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ওরফে ডাক্তার তৌফিক (৩২)।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া শাখার উপ-কমিশনার জানিয়েছেন, বুধবার রাতে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, তাদের কাছ থেকে ৭৮৭টি ডেটোনেটর ও একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাতে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম মণ্ডল ওরফে শফিকুল ইসলামকে ছয়টি বিদেশি পিস্তল, চারটি বিদেশি ওয়ান শুটার গান, ১২টি ম্যাগজিন ও ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ী বিহারের মুঙ্গের থেকে এসব আগ্নেয়াস্ত্র বেনাপোল সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে এনেছেন। তবে তিনি বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত এই অস্ত্রের বাহক ছিলেন।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের অনলাইন সংস্করণে ভারতীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ ) বরাত দিয়ে উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয় যে, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় তৈরি করা হয়েছে। অস্ত্র কারিগররা ছিলেন পাকিস্তানের পেশোয়ারের দারা আদম খেল সম্প্রদায়ের। পাকিস্তান থেকে অস্ত্র কারিগররা প্রথমে বিহারের মুঙ্গের শহরে আসেন। সেখানে একে ২২ রাইফেল তৈরির সক্ষমতা দেখতে না পেয়ে তারা পশ্চিমবঙ্গের মালদাতে আসেন। মালদার একটি অবৈধ কারখানায় গুলশান হামলায় ব্যবহৃত একে ২২ রাইফেল তৈরি করা হয়।
উল্লেখ্য, হলির আর্টিজানে হামলার পর পুলিশ সেখান থেকে তিনটি একে ২২ রাইফেল ও পাঁচটি পিস্তল উদ্ধার করে। এদিকে হামলার পরপরই ঘটনার তদন্তে গিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রধান বলেন, গুলশান হামলায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
গত জুন মাসে আমের মৌসুমে ঐসব আগ্নেয়াস্ত্র আমের ঝুড়িতে করে ভরে ট্রাকে করে ঢাকায় আনা হয়।
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।