বরিশালবাসীও রেলে চড়বে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষগুলোর ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও উদ্যোগ হাতে নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নিজেকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমিও কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এবং পদ্মাপাড়ের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষগুলো সব সময় অবহেলিত। কেউ কখনো এই অঞ্চলের মানুষের দিকে ফিরে তাকায়নি। অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নৌকায় ভোট দেয় বলে আওয়ামী লীগ ছাড়া যে যখন ক্ষমতায় এসেছে বৈমাত্রেয় সুলভ আচরণ করেছে।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইলবাসী যেমন রেললাইন থেকে বঞ্চিত হয়নি, বরিশালবাসীও বঞ্চিত হবে না। বরিশালবাসীও রেললাইন দেখবে, রেলে করে যেতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত অনেক নদী সত্ত্বেও রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য বিশদ নকশা প্রণয়নের সম্ভাব্যতা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই সমীক্ষার প্রাক্কলিত ব্যয় ২৩ কোটি টাকা ধরা হয়েছে শুধু সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য। এই ২৩ কোটি টাকা দিয়ে ইতোমধ্যে রেল কোন লাইনে যাবে সেগুলোর ওপরে একটি বিশদ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেহেতু যাচাই করা হচ্ছে তাহলে আশা করা যায় আগামীতে বরিশালও রেললাইন দেখবে।
তিনি বলেন, আগে যেমন টাঙ্গাইল জেলায় কোনো রেললাইন ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেতুতে রেললাইন করার পরিকল্পনা নেই। এটা করে দেওয়াতে টাঙ্গাইলবাসী প্রথম রেললাইন দেখে। কাজেই বরিশালবাসীও রেললাইন দেখতে সক্ষম হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রাস্তা ফোর লেন, না কত লেন হবে সেটা পরের কথা। আগে যে রাস্তাগুলো নির্মাণ হচ্ছে সেগুলো নির্মাণ হোক। আমাদের পরিকল্পনা আছে, প্রয়োজনে বাংলাদেশের যতগুলো হাইওয়ে রাস্তা আছে ভবিষ্যতে ফোর লেন ও যেগুলো এখন ফোর লেনে আছে সেগুলো ছয় লেনে উন্নীত করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, যেসব উপজেলায় একটিও সরকারি স্কুল বা কলেজ নেই শুধু সেই উপজেলায় আমরা স্কুল বা কলেজ সরকারিকরণ করবো। এই স্কুল-কলেজ যখন সরকারিকরণ করবো তখন সেখানকার শিক্ষকরা কোথাও বদলি হতে পারবেন না। তাদের স্ব স্ব স্কুল বা কলেজে থাকতে হবে।