লোকমান হাফিজ:
প্রকৃতি দক্ষিণা দুয়ার খুলে দিয়েছে। সে দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। কোকিল কণ্ঠস্বরে বাসন্তী গান। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি যেমন বর্ণিল সাজে
ঠিক তেমনি সাজে এমসি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও।
শীতের খোলসে ঢুকে থাকা কৃষ্ণচূড়া এখন অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে। লাল আর হলুদের বাসন্তী রঙে প্রকৃতির সাথে নিজেদের সাজিয়ে বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় যে জায়গায় প্রতিবছর ভাসতো বাঙালিরা সে জায়গায় এবার ভিন্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণীরা খোঁপায় শোভা পায় গাঁদা ফুলের মালা। বসন্তকে তারা আরও নিবিড়ভাবে বরণ করে নিত।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন’ প্রতিবছর ক্যাম্পাসে আয়োজন করে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে ‘মোহনা বসন্ত উৎসব’। এবারই তার ব্যতিক্রম দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আয়োজন হচ্ছে না মোহনা বসন্ত উৎসবের। পুরো এমসি কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে থাকত সাজসজ্জা। কলেজের প্রতিটি পথ ছুঁয়ে যায় রঙবেরঙের আলপনায়। প্রচার প্রচারণা হয় পুরো সিলেট নগরীতে।
তবে সরেজমিনে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দেখা যায়, পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সুনসান নীরবতা। কোথাও কোনো সাজসজ্জা নেই। নেই ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করার কোনোরকম আয়োজন।
মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন এর সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন বলেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেই সাথে থমকে আছে আমাদের সকল কার্যক্রম। এবারের বসন্তটা আমরা পরিবারের সাথেই বরণ করব। আগামী বসন্তে মোহনা তার চমক নিয়ে সকলের সামনে হাজির হবে। তখন সবাই মিলে বরণ করব, ঋতুরাজ বসন্তকে।