স্নাতক ডিগ্রিসহ কম্পিউটারে ছয় মাসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সনদধারীদের এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর ফলে স্নাতক ডিগ্রিসহ কম্পিউটারে ছয় মাসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সনদধারীদের মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগে বাধা কাটলো বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, ব্যারিস্টার রেজওয়ান কবির শাকিব ও মো. জহিরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
হাইকোর্ট গতবছর ২৬ জুলাই এক রায়ে স্নাতক ডিগ্রিসহ কম্পিউটারে ছয় মাসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সনদধারীদের মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগ সংক্রান্ত রিট আবেদনে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে (স্কুল ও মাদরাসায়) কম্পিউটারের শিক্ষক নিয়োগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই বিজ্ঞপ্তি দেয়। ২০ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা রেখে দেয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০১২ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদের জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে। কম্পিউটার বিজ্ঞান/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়িরিং-এ স্নাতক/সমমান অথবা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি/ সমমান এবং সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে ন্যূনতম ছয়মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে বিধায় শুধু এরূপ যোগ্যতাধারী প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করতে হবে।’ এরপর ওই বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশের কয়েক হাজার সনদধারী নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন।
কিন্তু স্নাতক ডিগ্রিসহ কম্পিউটারে ছয় মাসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সনদধারীদের আবেদনের সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে এনটিআরসিএ ফের বিজ্ঞপ্তি দেয়। এই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে কাজী মো. সাঈফ উদ্দিনসহ ৪৫ জন সনদধারী পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন। এ দুটি রিট আবেদনের হাইকোর্ট রুলসহ নির্দেশনা দেয়। এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতবছর ২৬ জুলাই হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। গতকাল সরকারের এ আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।