শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদল সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এলেও তা হচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংসদে বুধবারের প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমরা যুব বয়সের মেধাশক্তিকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য আমরা চাই সকলে সময়মতো পড়াশুনা করে চাকরিতে প্রবেশ করুক। এজন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।”
বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্যর এক সম্পূরক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছরের বেশি বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ‘পরিকল্পনা নেই’জানানোর পাশাপাশি কে নেই তার ব্যাখ্যাও দেন।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা শুরুতে ২৮ বছর ছিল। পরে তা দুই বছর বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩২ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ঢোকার সুযোগ রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে একদল শিক্ষার্থী চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী এই দাবি মেনে না নেয়ার যুক্তি হিসেবে বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে সেশনজট না থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
বর্তমানে ১৫-১৬ বছরে এসএসসি পাস করে শিক্ষার্থীরা ২৩ বছরে মাস্টার্স পাস করে ফেলছে। ফলে পড়াশুনা শেষ করতে ২৪-২৫ বছরের বেশি লাগে না। এরপরও চাকরির জন্য তাদের হাতে আরো অনেক সময় থাকে।
সংসদ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে উপস্থিত সফররত কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এখানে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত আছেন। তাদের সাথে আমরা কতগুলো চুক্তি সই করেছি।
“পায়রা সেতু নির্মাণে কুয়েত আর্থিক সহায়তা দেবে। লেবুখালী সেতুও কুয়েতের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। এজন্য কুয়েত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
পায়রা বন্দরের বহুমুখী ব্যবহার হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বন্দর প্রতিবেশী দেশগুলোও ব্যবহার করতে পারবে। এতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটবে।