কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগী জাহান তনু গত বছরের শেষ দিকে ফেইসবুকে একটি মোবাইল নম্বরের দশটি ডিজিট শেয়ার করে ওই নম্বর থেকে তাকে বিরক্ত করার কথা জানিয়েছিলেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাসের ছাত্রী তনুর মৃত্যুর পর চার দিনেও পুলিশ হত্যাকারীর হদিস না পাওয়ায় সেই নম্বরের সূত্র ধরে তদন্তের দাবি উঠেছে।
গত বছরের ৩ নভেম্বর ‘জাহান জারা’ নামে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া স্ট্যাটাসে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের একটি নম্বরের প্রথম দশটি সংখ্যা (০১৯৭১৮৩১৮৫..) জানান তনু। তবে এই নম্বরের শেষ সংখ্যাটি জানাননি তিনি।
মোবাইলফোন নম্বরটিসহ দেয়া স্ট্যাটাসে তনু লিখেছিলেন, ‘কিছু মানুষ এত বাজে.. ০১৯৭১৮৩১৮৫.. এত কল কেন যে দিতেছে উফ…।’ তবে ফেসবুকের এক বন্ধু উত্ত্যক্তকারীর পরিচয় জানতে চাইলে জবাবে তনু লিখেছিলেন, তিনি তাকে চেনেন না।
গত রোববার সন্ধ্যায় টিউশনি করে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় তনুকে।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংক সংলগ্ন স্থানে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
নিহত তনু ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে। টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ যোগাতেন তনু। তাদের গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে।
মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গত সোমবার কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত তনুর বাবা ঘটনার পর চার দিন পার হলেও এখনও হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়নি।
তবে হত্যার রহস্য বের করতে পুলিশের একাধিক টিম ছাড়াও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে।
তনুর মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে আপাতত তদন্ত এগোচ্ছে বলে ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে তনুকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচার দাবিতে ফেসবুকে সোচ্চার অনেকেই দাবি তুলছেন তনু ফেসবুকে যে উত্ত্যক্তকারীর মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে গেছেন তাকে তদন্তের আওতায় আনা হোক।