করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাকার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। সামনে স্কুলগুলোর বার্ষিক পরীক্ষার প্রসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সামনে তো বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষা তো আর হবে না, দেখি সেক্ষেত্রে আর কী করা যেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ৩১টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে নোয়াখালীর শুভশ্রী রায় নামে এক ছাত্রীর বক্তব্য শোনার পর প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি আমাদের শিক্ষার্থীদের সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে।, এতদিন পর্যন্ত স্কুল নাই, ক্লাস নাই। পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। আসলে এতে ক্ষতি হলেও তো কিছু করার নাই। কারণ করোনায় সারাদেশ ভুগছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলবো, অন্তত বই তো সাথে আছে, একটু পড়াশোনা করুক।
শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রমোশনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টেলিভিশনের মাধ্যমে অনলাইনে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বইপত্র তো আছেই। সব শিক্ষার্থীকে বলবো ঘরে বসেই তারা পড়াশোনা করুক। তারপর দেখি আমরা কীভাবে কী করতে পারি। কারণ সামনে তো ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষা তো আর হবে না, সেক্ষেত্রে আর কী করা যেতে পারে। প্রমোশনটা দেওয়া কিংবা পড়াশোনা যাতে চলতে পারে সেই ব্যবস্থাটাই করা।’
এসময় গণভবনের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ১১টি গ্রিড উপকেন্দ্র, নতুন ৬টি সঞ্চালন কেন্দ্র ও ৩১ উপজেলার শতভাগ বিদ্যুৎ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।