ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বিঘ্নে চলাচলের ব্যবস্থা করার নির্দেশ চার বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইজহারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ওই চার কর্মকর্তা হলেন বংশাল থানার নুর-ই আলম সিদ্দিকী, সুত্রাপুর থানার আশরাফ উদ্দিন, কোতোয়ালি থানার আবুল হাসান ও শাহবাগ থানার আবু বকর সিদ্দিকী। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ফুটপাত পরিষ্কার রাখাসহ যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে সরকারকে নির্দেশ দেন। আদেশে বলা হয়, জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ফুটপাত বা রাস্তার ওপর বালু, রড বা যেকোনো পণ্য রাখা, ভ্যানগাড়ি এবং ঠেলাগাড়ি পার্কিং করা, রাস্তার পাশে দোকানগুলোর পণ্যসমূহ ফুটপাত বা রাস্তা দখল করে না রাখা, দোকান ও ফেরিওয়ালা, ফলের দোকান না বসতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও বিচারকদের ট্রাফিক জ্যামের ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা করতে এই রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। রবিবার হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পর এখনও দখলমুক্ত হয়নি রাস্তা ও ফুটপাত। এ বিষয়ে চার থানার ওসিকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হলেও জবাব আসেনি। এ জন্য মামলা করা হয়েছে। রায় কার্যকর না করায় আজ হাইকোর্ট চার থানার ওসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন।