বাংলাদেশের উন্নয়নে আগামী পাঁচ বছরে ৮০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি, যা আগের পাঁচ বছরের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি।
অবকাঠামো, মানবোন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার মত খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের মধ্যে বাংলাদেশ এই ঋণ পাবে।
যা বিগত ৫ বছরে এডিবি থেকে প্রাপ্ত সহায়তার চেয়ে ৩ বিলিয়ন ডলার বেশি। প্রদত্ত ঋণের ৫০ শতাংশ হবে কনসেশনাল আর বাকি ৫০ শতাংশ হবে বাজারভিত্তিক। বাজারভিত্তিক ঋণে সুদ হবে লাইবর প্লাস পয়েন্ট ৫০ শতাংশ। আর কনসেশনাল ঋণে সুদের হার হবে ২ শতাংশ।
আজ বুধবার নগরীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬-২০২০ অংশীদারিত্ব শীর্ষক পাঁচ বছর মেয়াদী এই কৌশলপত্র ঘোষণা করে সংস্থাটি।
এডিবির এই নতুন ঋণ ছাড়ের আগে শোনা যাচ্ছিলো যেহেতু বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশ তাই হয়তো সুদের হার বাড়তে পারে। তবে প্রচলিত ঋণেই বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি।
এডিবির নতুন ঋণে রেল, পরিবহন, চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন, ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বাণিজ্য, পানি ব্যবস্থাপনা, নগর সেবা বাড়ানো, জলবায়ু, শিক্ষা, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হবে।
এ কৌশলপত্র অনুযায়ী পাঁচ বছরে (প্রতি ডলার ৮০ টাকা) ৬৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। কাজুহিকো হিগুচি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে সপ্তস-পঞ্চ বার্ষিকি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
এডিবির নতুন ঋণ সরকারের লক্ষ্যপূরণে কাজ করবে। ফলে দেশ দারিদ্র্য বিমোচন এবং মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে।
১৯৭৩ সালে এডিবির সদস্যপদ লাভ করার পর থেকে এ সংস্থা তাদের আর্থিক সহায়তার একটি বড় অংশ বাংলাদেশকে প্রদান করে আসছে। এ যাবৎ এডিবি বাংলাদেশকে ১৬ বিলিয়ন ডলারের অধিক ঋণ সহায়তা দিয়েছে।
এক্ষেত্রে এডিবি প্রধানত, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানি সম্পদ এবং সুশাসন খাতকে প্রাধান্য দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে ২ শতাংশ হারে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।