বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪

দলকে আলাদা করার প্রয়াস চলেছে: কাদের

যা যা মিস করেছেন

সরকার থেকে দলকে আলাদা করার একটা জোর প্রয়াস চলেছে। তাই এবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীতে মন্ত্রীদের রাখা হয়নি।

obaidul-kader-the-mail-bd

আজ রোববার দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক মন্ত্রীকে সম্পাদকমণ্ডলীতে দলীয় প্রধান (শেখ হাসিনা) রাখেননি। মন্ত্রীদের অনেক কাজ, তাদের পক্ষে দলে সময় দেওয়া অনেক কঠিন।

সরকার এবং দল আলাদা করার প্রশ্ন যদি আসে তাহলে কোন পদ বেছে নেবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে, যে পারে সব পারে। আমি রাস্তা দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগকে দেখব এবং আওয়ামী লীগকে দেখতে রাস্তা দেখব। আমার সমস্যা হওয়ার কথা না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠেন। আমি তাকে অনুসরণ করি। কেউ ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠলে সকাল ১০টার মধ্যে আর কাজ খুঁজে পাবেন না। আমি ১০টার মধ্যে কাজ শেষ করে রাস্তায় বের হয়ে যাই। আমাকে আরও কোনো কাজ দিলেও করতে পারব।’

সাংবাদিকেরা জানতে চান দলের এখনকার দুর্বলতাগুলো কী? তিনি বলেন, ‘দুর্বলতা সমস্যা তো আছেই। বড় দল বড় পরিবার, ছোটখাটো মনোমালিন্য আছে, কিছু আবর্জনা ঢুকে গেছে তাই নানা জায়গায় ঝামেলা হচ্ছে। তাদের বলে দেওয়া হয়েছে সংশোধন করতে।’ দুর্বল বিরোধী দল নিয়ে নিজেরা শক্তিশালী হতে পারবেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসেনি বলেই তো এ রকম হয়েছে। জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে। তা আমরা অস্বীকার করব কীভাবে।’

বিএনপিকে ভবিষ্যতে নির্বাচনে আনার বিষয়ে কাজ করবেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে, ভালোভাবেই আসবে। আগের ভুল আর করবে না। না আসলে যেভাবে চলছে এভাবেই চলবে। দেশ চালাবার খায়েশ কি তাদের নেই। তাদের অনেকের তো রাতের ঘুম হারাম। একদিকে তরুণদের ধাক্কা অন্যদিকে অন্য ধাক্কা।’

নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি সহায়তা করতে চাইলে নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানে বলা আছে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। ভবিষ্যতে এভাবেই হবে। এখানে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে জাতির প্রয়োজনে যদি কোনো সংলাপ প্রয়োজন হয় তাহলে সংলাপ করব। দলের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সরকার যতটা শক্তিশালী দলকেও অতটা শক্তিশালী করতে চাই, তাহলে ভালো ভারসাম্য থাকবে। উন্নয়ন দ্রুততর হবে।’

সব জঙ্গি হামলা মোকাবিলা একটা বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ একটা বড় চ্যালেঞ্জ, সরকারের জিরো টলারেন্স এবং তড়িৎ ব্যবস্থার কারণে তারা দমে গেছে। তবে সন্ত্রাস বিদায় নিয়েছে এমন আত্ম সন্তোষের সুযোগ নেই। এটা সাময়িক ব্যাপার, হয়তো আরও বড় হামলার জন্য তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছে জঙ্গিরা। বড় হামলাও আসতে পারে। কারণ নীরবতা ঝড়ের পূর্ব লক্ষণ।’

 

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security