চট্টগ্রামে এসপিপত্নী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন দুইজন ‘কথিত’ বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঠান্ডাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া থানায় নিয়ে এসেছে থানা পুলিশ।
রাশেদ ও নবী দুজনের বাড়িই রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে। এদের মধ্যে নবী সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নিয়ে মিতুকে ছুরিকাঘাত করেন বলে আদালতে দেয়া দুই আসামির জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। আর রাশেদ কিলিং মিশনের সময় ঘটনাস্থলে থেকে খুনিদের সহযোগিতা করেছিল।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিতু হত্যার মামলার মোস্ট ওয়ান্টেড রাশেদ ও নবী রাঙ্গুনিয়ার ঠান্ডাছড়ি এলাকায় অবস্থান করছে, এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে গেলে আসামিরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ি। একপর্যায়ে রাশেদ ও নবী মারা যান।’
গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।
এরপর ২৮ জুন নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকা থেকে এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির হোসেন নামের দুইজনকে দুটি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, আদালতে জবানবন্দিতে ওয়াসিম ও আনোয়ার বলেছেন, মুছার ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী’ এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। ওই জবানবন্দিতেই রাশেদ, কালু, শাহজাহান ও নবীর নাম আসে।
পরে ওই পাঁচজনের দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর পুলিশ ১ জুলাই শাহজাহান ও মামলায় অন্যতম সন্দেহভাজন মুছার ছোট ভাই সাইদুল ওরফে সাকুকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়।