রুহুল আমিন,ডিমলা(নীলফামারী)
নীলফামারীর ডিমলায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপি’র উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালি করা হয়।
র্যালিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে দলে দলে এসে যোগ দেন এই কর্মসূচিতে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও শহীদ জিয়াউর রহমান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন সরকার।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফ উল ইসলাম লিটন, সাধারন সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান, সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ডিআর জাহাঙ্গীর আলম, নাউতারা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব আশিক উল ইসলাম লেমন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সোহাগ খান লোহানী, যুগ্ন আহ্বায়ক আইয়ুব আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সবুজ, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি নুর আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হালিমুল হোসেন রাসেল, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আশিকুর রহমান, সাবেক জেলা ছাত্রদলের সদস্য সেলিম ইসলাম সাগর প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। তাদের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় ১৬ই ডিসেম্বরের অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্ত্বা লাভ করে। এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
বক্তারা আরো বলেন, রাজনৈতিক দলসহ ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফসল এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এদেশের সাধারণ জনগণের ভোটে সরকার গঠনের জন্য অতিসত্বর নির্বাচনী তারিখ ও রোডম্যাপ ঘোষনার দাবি করেন উপস্থিত বক্তারা।